ধনরাজ পিল্লাই। —ফাইল চিত্র।
দেশের হয়ে চারটি বিশ্বকাপ, অলিম্পিক্স ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেছেন তিনি। তবে কবাডি নয়। দেশের জার্সি গায়ে তিনি তিনি ৩৩৯ ম্যাচে ১৭০ গোল করেছেন হকি মাঠেই।
তামিল বাবা-মায়ের সেই সন্তান ধনরাজ পিল্লাইয়ের জন্ম পুণেতে হলেও দীর্ঘ সময় মুম্বইয়ের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সন্ধেয় সেই ধনরাজও চলে এলেন সর্দার বল্লভভাই পটেল স্টেডিয়ামে পুণেরি পল্টন বনাম তেলুগু টাইটান্স এবং ইউ মুম্বা বনাম ইউপি যোদ্ধার খেলা দেখতে।
প্রতিযোগিতায় কোন দলের সমর্থক জানতে চাইলে ধনরাজের সাফ জবাব, ‘‘তামিল বাবা-মা। পুণেতে জন্মেছি। কিন্তু আমার খেলোয়াড় জীবনের একটা বড় সময় কেটেছে মুম্বইয়ে। এখন এই শহরেই রয়েছি। তাই আমি ইউ মুম্বার সমর্থক। ছোটবেলায় স্কুলে কবাডি খেলতাম। তাই খেলাটা ভালবাসি। তার উপর মুম্বইয়ের দল রয়েছে। তাই নিজের শহরের দলকে সমর্থন করতে চলেই এলাম।’’
আরও পড়ুন: মাশরফির পরামর্শই মন্ত্র বঙ্গযোদ্ধা জিয়ার
আরও পড়ুন: ‘আট মাসের ঠাসা ক্রিকেট সূচিতে মাঠে ফিরছি’
এ দিন প্রথম ম্যাচে তেলুগু টাইটান্স হারাল পুণেরি পল্টনকে। ম্যাচের ফল ২৮-২৫। পুণের হয়ে এ দিন খেলতে নেমেছিলেন বঙ্গসন্তান রাজেশ মণ্ডল। প্রতিযোগিতায় যে দু’জন বঙ্গসন্তানকে এ বার খেলছেন, তার মধ্যে রাজেশ একজন। দ্বিতীয় জন বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের অমরেশ মণ্ডল। বনগার ট্যাংরা গ্রামের ছেলে অমরেশ এ দিনই দলের সঙ্গে মুম্বই ছাড়লেন গুজরাতের উদ্দেশে। এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী প্রাক্তন খেলোয়াড় বিশ্বজিৎ পালিতের ছাত্র অমরেশ বলছেন, ‘‘ছোটবেলায় বাবা-মা কে হারিয়েছি। বাড়িতে দাদু-দিদা রয়েছেন। খুব কষ্ট করে এই জায়গায় এসেছি। বাকি ১৩ ম্যাচে ভাল খেলে খেতাব জিতে ওদের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই। ট্রফি দিতে চাই বাংলাকে।’’