কোটলায় নিউজিল্যান্ডের প্রস্তুতি। বুধবার। ছবি: উৎপল সরকার।
দলে টিকে থাকতে গেলে এখন তাঁকে লড়াই করতে হবে। সোজা কথাটা হল, এখন লড়াই করে বাঁচার সময় এসে গিয়েছে শিখর ধবনের। কিন্তু তাতে ঘাবড়ে যাননি ‘গব্বর’। শোলের গব্বরের স্টাইলে একবারও বলছেন না, ‘বহুত না ইনসাফি হ্যায়’। বরং বলছেন, ‘‘এটাই ভাল হল।’’
ভারতীয় টেস্ট দলে টিকে থাকতে হলে তাঁকে এখন থেকে কেএল রাহুল ও মুরলী বিজয়ের সঙ্গে লড়তে হবে। এই ত্রিমুখী লড়াইকে ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে ভাল’’ বলছেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান। তাঁর মতে, ‘‘দুই ওপেনারের জন্য যে তিনজনের লড়াই শুরু হতে পারে, এটা আমার জানাই ছিল। কিন্তু এতে খারাপ কী আছে? বরং এটা ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে ভাল। দলের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকলে কি সেটা দলের পক্ষেই ভাল নয়? রাহুল সম্প্রতি ভাল ব্যাটিং করেছে। শুধু টেস্টে নয়, টি-টোয়েন্টিতেও।’’
ওপেনারের পাকা জায়গাটা তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের জন্য হারিয়েছেন শিখর। ওয়েস্ট ইন্ডিজে শেষ টেস্টে প্রথম এগারো থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ। কিন্তু ভেঙে পড়তে রাজি নন। বরং এই ধাক্কা থেকেই ফিরে আসার রসদ খুঁজছেন ভারতীয় দলের গব্বর। বুধবার দলীপ ট্রফির ফাইনালের পর বললেন, ‘‘দুঃখ তো হবেই। কিন্তু এটাই এখন আমার কাছে মোটিভেশন। যখন টি-টোয়েন্টি টিমের বাইরে ছিলাম, তখনও দলে ফিরে আসার মোটিভেশন খুঁজে পেয়েছিলাম ওখান থেকেই। এ বারও সে রকমই হবে নিশ্চয়ই।’’
সামনেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজে স্পিনাররাই দাপট দেখাবে বলে ধারণা ধবনের। বলছেন, ‘‘কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদির মতো ভাল ক্রিকেটার রয়েছে ওদের দলে। সিরিজে ওরা ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে আমাদের দেশের স্পিনিং ট্র্যাকে ভাল বল করার মতো বোলার— মিচেল স্যান্টনার রয়েছে ওদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তো ও বেশ ভাল বল করেছিল।’’
স্পিনাররাই যে আসন্ন সিরিজে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে, তা নিউজিল্যান্ড শিবিরও যে বিশ্বাস করে, তা তাঁদের প্রথম দিনের প্র্যাকটিসেই স্পষ্ট। ভারতে পা দিয়ে ফিরোজ শাহ কোটলায় প্রথম দিনের নেট সেশনেই কিউয়ি স্পিন ত্রয়ী— লেগ স্পিনার ইশ সোধি, অফ স্পিনার মার্ক ক্রেগ ও বাঁ-হাতি স্পিনার স্যান্টনার লম্বা স্পেলে বোলিং করলেন।
ঘন্টা দুয়েকের নেট প্র্যাকটিসের পর ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন জানিয়েও দিলেন, ভারতে তাঁদের স্পিন সহায়ক উইকেটেই খেলতে হবে বলে ধরে রেখেছেন। আর তাঁদের পক্ষে এই লড়াইটা যে সহজ হবে না, তাও বুঝিয়ে দিলেন। নেটে তাঁকে দলের স্পিনারদের বিরুদ্ধে অনেকক্ষণ ব্যাট করতেও দেখা যায়। নতুন এসজি টেস্ট বল নিয়ে বোলিং করতে দেখা গেল ক্রেগকে। তাঁকে দিয়ে বোলিং শুরু করার পরিকল্পনাও যে নিউজিল্যান্ড দলের নীল নকশায় রয়েছে, তা এ থেকেই আন্দাজ করা যায়। নেট বোলারদের মধ্যেও বেশিরভাগ স্পিনারদেরই বল করতে বলছিলেন কিউয়িরা। এমনকী উইলিয়ামসনও নেটে ব্যাটিং শেষ করে বল হাতে ‘অফ ব্রেক’ শুরু করেন। যতই হোক ৫২টা টেস্টে ২৯টা উইকেট আছে নিউজিল্যান্ড ক্যাপ্টেনের।