সান্টা ক্লারাতে তখনও ‘মেসি-মেসি’ চিৎকার চলছে। ফটোগ্রাফাররা মেসির পিছন পিছন ঘুরছেন। সের্জিও আগেরো-গঞ্জালো ইগুয়াইনরা হ্যান্ডশেক করছেন চিলির তারকাদের সঙ্গে। এরই মাঝে এক কোণায় টিভির চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন অ্যাঞ্জেল দি’মারিয়া। ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে। সঙ্গে অঝোরে কান্না। মেসিহীন আর্জেন্তিনার ত্রাতা মাঠে না হারলেও, মাঠের বাইরে হারিয়েছেন প্রিয়জনকে। কাঁদতে কাঁদতেই তো বলে দিলেন, ‘‘গ্র্যানি তোমায় খুব মিস করব।’’
চিলির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ তখনও শুরুও হয়নি। দি’মারিয়া খবর পান তাঁর আদরের ঠাকুমা আর নেই। বিশ্বফুটবলের ‘নুড্ল’ তাও কাউকে বুঝতে দেননি নিজের কষ্টের কথা। বরং একটা গোল করে, একটা গোল করিয়ে লা অ্যালবিসেলেস্তেদের কোয়ার্টার ফাইনালের দোরগোড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এ রকম বিশ্বমানের পারফরম্যান্স তাঁর প্রয়াত ঠাকুমাকে উৎসর্গ করে দি’মারিয়া বলছেন, ‘‘গ্র্যানি আমার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। সব সময় বলতেন, তিনি গর্বিত আমাকে দেশের হয়ে খেলতে দেখে। বলতেন, মাঠে নেমে সব সময় দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করবে। ঠাকুমার মৃত্যু সংবাদ পেলেও এই জন্য আমি এই ম্যাচটা খেলেছি।’’
এই জন্য আমি আরও বেশি করে খেলতে চেয়েছিলাম।’’ নিজের গোলের সেলিব্রেশনে একটা সাদা টি-শার্ট ধরে মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আর্জেন্তিনার আদরের ‘নুড্ল’। যে শার্টে লেখা ছিল, ‘গ্র্যানি তোমায় খুব মিস করব।’ আবার নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টেও ঠাকুমার ছবি পোস্ট করে দি’মারিয়া লেখেন, ‘‘আমার মিষ্টি গ্র্যানি। তুমি শান্তিতে ঘুমোও।’’
দি’মারিয়ার কান্না ছাড়াও প্রথম ম্যাচের আর এক হেডলাইন মুহূর্ত ছিল লিওনেল মেসির রিজার্ভে গোমড়া মুখ নিয়ে বসে থাকা। স্বভাবতই চিলি ম্যাচ শেষে জেরার্দো মার্টিনোকে জিজ্ঞেস করা হয় পানামা ম্যাচে কি তবে দলের দশ নম্বর ফিরছেন? ‘‘সব কিছু নির্ভর করছে মেসির চোট কতটা সারল তার উপর। আশা করছি আর দিন চারেকের মধ্যেই ম্যাচ ফিট হবে মেসি,’’ বলছেন মার্টিনো।