চেন্নাই ম্যাচ দেখবেন আটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ।
আটলেটিকো দে কলকাতার ম্যাচ দেখতে শহরে আসছেন দিয়েগো সিমিওনে। যিনি চব্বিশ ঘণ্টা আগেই লা লিগার সেরা কোচের শিরোপা জিতেছেন। ব্যালন ডি’অর-এর সেরা কোচের প্রাথমিক তালিকাতেও উঠেছে তাঁর নাম।
আটলেটিকো মাদ্রিদের কোচ সিমিওনের কলকাতায় আসার কথা ১৩ নভেম্বর। ১৪ নভেম্বর যুবভারতীতে কলকাতার সঙ্গে ম্যাচ রয়েছে মাতেরাজ্জির টিম চেন্নাইয়ান এফসি-র। আটলেটিকোর এক কর্তা বললেন, “আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ম্যাচ চলবে বলে ৭ থেকে ২২ নভেম্বর ঘরোয়া ফুটবল বন্ধ থাকবে। আটলেটিকোর তাই লা লিগায় খেলা নেই। সিমিওনে ওই সময়ই কলকাতার ম্যাচ দেখতে চাইছেন। ম্যাচ দেখে পরের দিনই তিনি ফিরে যাবেন বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে।”
স্পেনে থাকার সময় মাদ্রিদ ডার্বিতে সাসপেনশনের জন্য গ্যালারিতে বসে আন্তোনিও হাবাসের সঙ্গে খেলা দেখেছিলেন সিমিওনে। একই দৃশ্য কি দেখা যাবে যুবভারতীতে? মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কলকাতা কোচ হাবাসের সাসপেনশন কমার কোনও সিদ্ধান্তের চিঠি ফেডারেশন থেকে আসেনি। যদি কমে তা হলে দৃশ্যটা বদলাবে। না হলে সিমিওনে এবং হাবাস পাশাপাশি বসে খেলা দেখবেন কাচের বক্সে।
দু’দিন ছুটির পর আজ বুধবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে কলকাতার অনুশীলন। ৪ নভেম্বর লুই গার্সিয়াদের ম্যাচ চেন্নাইয়ান এফসি-র সঙ্গে। যে টিম মঙ্গলবার পাঁচ গোল দিল আনেলকার মুম্বই এফসি-কে। পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষের এই দৌরাত্ম্য টিভিতে দেখে প্রচণ্ড সতর্ক কলকাতা কোচ হাবাস। এ দিন রাজারহাটের টিম হোটেলে ফুটবলারদের সঙ্গে খেলা দেখেন কলকাতার কোচও। মেন্ডোজা, এলানো, জেজেদের দেখার পর হাবাস সঙ্গে থাকা কর্তাদের বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত যে ক’টা টিমের সঙ্গে খেলেছি তাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দল চেন্নাইয়ান। এটাই আইএসএলের বড় ম্যাচ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।” তবে হাবাসের ধারণা গার্সিয়া টিমে ফিরবেন। পাশাপাশি ফিকরুর সাসপেনশন উঠে গেলে লড়াইটা জমে যাবে। জেতার জন্য ঝাঁপানো যাবে।
চোট পাওয়া কলকাতার মিডিও ডেঞ্জিল ফ্রাঙ্কো এ দিন সকালেই চলে গিয়েছেন মুম্বইতে। প্রখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জেন অনন্ত জোশীর পরামর্শ নিতে। আজ বুধবার ডেঞ্জিল আদৌ আইএসএল আর খেলতে পারবেন কি না জানা যাবে। ডেঞ্জিল ফোনে অবশ্য বললেন, “আমি আশাবাদী। পরের দিকে আইএসএলে খেলতে পারব।”
ডেঞ্জিল ছাড়া কলকাতার বেশির ভাগ ফুটবলারই এ দিন হোটেলে বসে খেলা দেখেন চেন্নাইয়ানের। মেন্ডোজা, এলানো, জেজেদের দেখার পর কলকাতার সবথেকে ধারাবাহিক ডিফেন্ডার অর্ণব মণ্ডল বললেন, “মেন্ডোজা কিন্তু দারুণ খেলল। ওর অফ দ্য বল স্পিড এত ভাল যে নজরে রাখা কঠিন হবে। নীচের থেকে এলানো ভাল বল বাড়াচ্ছে। ভ্যালেন্সিয়াও গোল করছে।” গোলের মধ্যে ফেরা ভারতীয় স্ট্রাইকার জেজেকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও অর্ণবের মন্তব্য, “চেন্নাইয়ান টিমের মাঝমাঠটা কিন্তু শক্তিশালী।” আর এক ডিফেন্ডার বিশ্বজিৎ সাহার মন্তব্য, “টিমটা খুব ব্যালান্সড। সবাই একসঙ্গে ওঠে আবার নেমে আসে। উইং প্লে তেমন ভাল না হলেও মাঝমাঠ আর ফরোয়ার্ডদের মধ্যে সমঝোতা ভাল।” জানা গেল রাতে ডিনার টেবিলে গার্সিয়া, বোরহা, নাতোদের আলোচনার প্রধান বিষয়ই ছিল এলানো, ভ্যালেন্সিয়াদের চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স।
আটলেটিকো দে কলকাতার ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে অসুবিধা হয় না, কোচের মতো চেন্নাইয়ানের দাপট দেখে সবাই চিন্তিত। কিছুটা আতঙ্কিতও। আতঙ্কের কারণ ফিকরু তেফেরা টিমে না ফিরলে কী হবে? হাবাসকে আজ থেকে তাই নতুন অঙ্ক শুরু করতে হবে। প্রথম টিম তৈরির ভাবনার পাশাপাশি প্ল্যান বি-ও তৈরি রাখতে হবে ফিকরুকে টিমে ধরে নিয়ে।
আজ আইএসএলে
দিল্লি ডায়নামোস বনাম নর্থইস্ট ইউনাইটেড (দিল্লি, সন্ধ্যা ৭-০০)