বাকু বিশ্বকাপে চোট পেয়ে আগামী এক মাসের জন্য ছিটকে গেলেন দীপা কর্মকার। ফাইল চিত্র
নতুন শেখা একটি ভল্টে সফল হয়ে বাকু বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেন দীপা কর্মকার। তৃতীয় স্থান পেলেন তিনি। শনিবার ভারতের অন্যতম সেরা জিমন্যাস্ট পদক জেতার লড়াইয়ে নামবেন। বাকু থেকে ফোনে দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী বললেন, ‘‘এখানে বিশ্বের সেরা জিমন্যাস্টরা নেমেছে। যে দু’জন প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছে তারা অলিম্পিক্স ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদকজয়ী। তবুও দীপা যে ফল করেছে, তাতে আমি খুশি নই। আরও বেশি পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল ওর। ফাইনালে আমরা পুরানো দুটো ভল্টও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’’
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের ভল্টিং ইভেন্টের যোগ্যতানির্ণায়ক পর্বে দীপা পান ১৪,২৯৯ পয়েন্ট। এই ইভেন্টে প্রথম হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের জেডে ক্যারি। তাঁর পয়েন্ট ১৪, ৭০০। দ্বিতীয় হয়েছেন মেক্সিকোর অ্যালেক্সা মোরেনো। তিনি করেছেন ১৪, ৫৩৩। এ দিন নতুন ‘ব্যাক ৭২০ টার্ন’ ভল্টের সঙ্গে পুরানো ‘হ্যান্ড ফ্রন্ট ৫৪০ টার্ন’—দুটি ভল্ট দেন দীপা। দীপার কোচ বললেন, ‘‘দ্বিতীয় ভল্টটি নতুন। এ বারই প্রথম করছে কোনও প্রতিযোগিতায়। ফলে একটু ভয়ে ভয়ে ছিল দীপা। তারই প্রতিফলন ঘটেছে আজকের ফলে। আশা করছি পদকের রাউন্ডে আরও ভাল পয়েন্ট করবে দীপা।’’ দীপা অবশ্য আজ, শুক্রবার আর একটি নতুন ইভেন্ট ব্যালান্সিং বিমে নামবেন।
দীপা পাখির চোখ করেছেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সকে। সেখানে নামার যোগ্যতা পেতে হলে নিজের ইভেন্ট আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপে পরপর সোনা জিততে হবে। বাকুর পরের বিশ্বকাপ রয়েছে দোহায়। গত বছর নভেম্বর মাসে জার্মানি বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন দীপা। দীপা এ দিন সেই অর্থে পদক জেতা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি তিনি। ফোনে শুধু বললেন, ‘‘পদক নয়, আমার লক্ষ্য সেরাটা দেওয়া। সেরাটা দিতে পারলেই তো পদক আসবে। কিন্তু পদক জিতবই, এই ভাবনা মাথায় নিয়ে নামলে চাপ বেড়ে যায়। জিমন্যাস্টিক্স এমন একটা খেলা, যেখানে প্রতিযোগিতার দিনে কে কতটা মানসিক প্রস্ততি ও সুস্থতা নিয়ে নামছে , সেটার উপর নির্ভর করে অনেক কিছু।’’ দেখার শনিবার দীপার গলায় কোনও পদক ওঠে কি না।