প্রত্যয়ী: দীপার লক্ষ্য অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন। ফাইল চিত্র
জোড়া বিশ্বকাপে যোগদানের ছাড়পত্র পেয়েছেন শুনে উচ্ছ্বসিত দীপা কর্মকার। বলে দিলেন, ‘‘পদক জিতব বলে কোনও প্রতিযোগিতায় নামতে হলে বাড়তি চাপ এসে যায়। আমি এটুকু বলছি, দুটো বিশ্বকাপেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’’ পদকের কথা মুখে না বললেও জোড়া বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের উপর অনেকখানি নির্ভর করছে দীপার ভাগ্য। সোনা বা রুপো জিতলে তাঁর টোকিয়ো অলিম্পিক্সে রাস্তা কিছুটা হলেও পরিষ্কার হতে পারে। তবে এ বার অলিম্পিক্সে যোগ্যতা পাওয়া বেশ কঠিন। ধারাবাহিক ভাল ফল করতে হবে দীপাকে।
মঙ্গলবার বিকেলে সাই যখন দীপা এবং তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর দুটি প্রতিযোগিতায় যাওয়ার ছাড়পত্র মঞ্জুর করে তখন রিয়ো অলিম্পিক্সে আলোড়ন ফেলে দেওয়া জিমন্যাস্ট আগরতলায় অনুশীলনে ব্যস্ত। সকাল-বিকেল মিলিয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা অনুশীলন করছেন তিনি। তার মধ্যেই বলছিলেন, ‘‘আমার আসল লক্ষ্য টোকিয়ো অলিম্পিক্সে নামার যোগ্যতা অর্জন করা। সেই লক্ষ্যে আমি এগোচ্ছি। কোচ যে দুটো ভল্ট আমাকে করতে বলবেন সেটাই করব। পুরনো ভল্টে তো আমি অভ্যস্ত। নতুনটারও অনুশীলন চলছে।’’ প্রোদুনোভা অনুশীলন প্রাথমিকভাবে শুরু করলেও বাকু এবং দোহায় অস্ত্র হিসাবে প্রোদুনোভাকে ব্যবহার করতে নারাজ দীপা। তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী আগরতলা থেকে ফোনে বললেন, ‘‘প্রোদুনোভার অনুশীলন শুরু করেছে দীপা। ওটা অলিম্পিক্সের জন্য তুলে রাখছি। কারণ আরও অনুশীলন করা দরকার। পুরনো দুটো ভল্টের সঙ্গে নতুন একটার অনুশীলন চলছে। দেখা ওখানে গিয়ে ঠিক করব কোনটা করাব।’’
দীপা যে দুটো বিশ্বকাপে নামবেন তার প্রথমটি ১৪-১৭ মার্চ আজারবাইজানে। পরেরটি ২০-২৩ কাতারে। আদ বুধবারই আগরতলা থেকে দিল্লির শিবিরে যোগ দেবেন দীপা ও তাঁর কোচ। সেখান থেকেই রবিবার বাকু যাবেন দু’জনে। দীপা বললেন, ‘‘আমি সাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে বিশ্বকাপে নামার সুযোগ দিয়েছেন।’’ শোনা যাচ্ছে, গত বছর জার্মানি বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন বলেই তাঁকে সরাসরি ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে সর্বভারতীয় জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন আর যাঁদের নাম পাঠিয়েছিল সেই জিমন্যাস্টদের ছাড়পত্র দেয়নি সাই। আজারবাইজানে কাউকে পাঠানো হচ্ছে না। তবে দুই পুরুষ জিমন্যাস্ট আশিস কুমার ও যোগেশ্বরকে ফের ট্রায়ালে নিতে বলা হয়েছে সাইয়ের পক্ষ থেকে। সম্ভবত তাদের ট্রায়াল নেওয়া হবে ১১ মার্চ। নির্বাচিত হলে তাদের দোহা পাঠানো হবে।