নতুন আশা ডুডুকে নিয়ে বাগান কোচ। শনিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
মোহনবাগানের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় ডুডু ওমাগবেমি।
রবিবার সাদার্ন সমিতির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে পুরো প্র্যাকটিসও করলেন। আবার মোহনবাগান মাঠে উপস্থিত সমর্থকদের আশ্বস্ত করতে বলেও গেলেন, ‘‘আমি তৈরি।’’ ‘জেটল্যাগের’ জন্য একদিন আগে নিজেকে ‘ক্লান্ত’ বলে দাবি করলেও এ দিন অনুশীলন শেষে ডুডু বলে দিলেন, ‘‘আমার এখন কোনও ক্লান্তি নেই। ভাল করে বিশ্রাম নিয়ে নিয়েছি। কাল খেলার জন্য প্রস্তুত। কোচ খেলালেই খেলব। আগের বারও তো ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খুব কম সময় পেয়ে মাঠে নেমেছিলাম। এ বারও তাই কোনও অসুবিধা নেই।’’
তপন মাইতি, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, শ্যাম মণ্ডলের মতো প্রতিভাবান বঙ্গ ফুটবলারদের বিরুদ্ধে খেলার আগে ডুডুর একটাই লক্ষ্য- ‘‘আমার কাজ গোল করা। আমি স্ট্রাইকার। আমি গোল করে তিন পয়েন্ট এনে দিতে চাই। জানি মোহনবাগানের গোল পেতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু দল খেলছে ভাল।’’ ডুডু যাই বলুক না কেন, নাইজিরীয় গোলমেশিন শুরুর থেকে খেলবেন কি না, সেই ব্যাপারে প্রশ্ন রেখেই দিলেন দলের কোচ সঞ্জয় সেন। ‘‘ডুডু খেলবে তো বটেই। কুড়ি জনের দলে থাকছে। কিন্তু প্রথম দলে রাখব কী পড়ে নামাব, সেটা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি,’’ বললেন সঞ্জয়।
ওয়ার্ম আপ থেকে প্র্যাকটিস ম্যাচ। সেট পিস সিচুয়েশনে অনুশীলন করা, সব কিছুই করলেন ডুডু। তা সত্ত্বেও খেলানো নিয়ে এত বেশি দ্বিধায় কেন কোচ? সঞ্জয়ের দাবি, ‘‘আসলে ডুডু খুব বেশি অনুশীলন করার সময় পায়নি। নব্বই মিনিট খেলতে পারবে কি না, তা নিয়ে এখনও ভাবতে হবে। কারণ ম্যাচের আগের দিন হাল্কা প্র্যাকটিস হয়। সেটা করেই ওকে প্রথম দলে রাখা যাবে কিনা সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে ডুডুকে এখন আমার দরকারও।’’ ‘ডেড-বল’ প্র্যাকটিসে ডুডু পেনাল্টি ফস্কালেও, ম্যাচে কাতসুমি-পঙ্কজ মৌলাদের সঙ্গে ভাল করে কম্বাইনও করলেন।
ডুডুর খেলা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রেখে দিলেও উপস্থিত সমর্থকরা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা চান নাইজিরীয় গোলমেশিনকে খেলতে দেখতে। প্র্যাকটিস শেষে সবাই ডুডুর সঙ্গে সেলফি নেওয়ার লোভে যেমন ঝাঁপিয়ে পড়লেন, আবার গাড়ি অবধি ধাওয়া করে হাতও মেলালেন। মোহনবাগানের পরিবেশ দেখে খুবই খুশি ডুডু বলেন, ‘‘ভারতের সেরা ক্লাবগুলোর মধ্যে একটা মোহনবাগান। দলটাও ভাল। তরুণ খেলোয়াড়রাও প্রতিভাবান।’’
কলকাতা লিগের প্রথম দু’ম্যাচে কোনও জয় না পেলেও সাদার্ন ম্যাচ থেকেই আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিতে মরিয়া সঞ্জয়। ‘‘গোল না করার একটাই সমাধান। পেনাল্টি বক্সের সামনে আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে হবে। সাদার্ন ম্যাচ জিতলে কিন্তু দলের আত্মবিশ্বাস বাড়বে,’’ বলছেন কোচ। ডুডুর সঙ্গে গুস্তাভোকেও রাখা হবে কুড়ি জনের দলে। ডুডু প্রথম দলে না খেললে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। সাইয়ের বিরুদ্ধে খেলা টিমটাই মোটামুটি থাকছে।
কলকাতা লিগে কোনও গোল নেই। এই অবস্থায় কি ডুডু বাগানের ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে উঠতে পারবেন? এখন সেটাই দেখার।
আজ কলকাতা লিগে
মোহনবাগান-সাদার্ন সমিতি (বারাসত, দুপুর ৩-৩০)