দুরন্ত হ্যাটট্রিকে দুই প্রধানের চাপ বাড়ালেন পেদ্রো

পিছিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত নাটকীয় ভাবে চেন্নাই জিতে যাওয়ায় নতুন অঙ্ক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

 নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:১৩
Share:

মহড়া: মোহনবাগান অনুশীলনে সনি। শুক্রবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

চেন্নাই সিটি এফসি যখন বিরতিতে গোকুলমের কাছে ১-২ গোলে হারছে, ময়দানের দুই প্রধানের তাঁবুতেই চাপা উচ্ছ্বাস। শুক্রবার বিকেলে মোহনবাগান অনুশীলনেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছিল কোঝিকোড়ের আই লিগ ম্যাচের।

Advertisement

কিন্তু পিছিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত নাটকীয় ভাবে চেন্নাই জিতে যাওয়ায় নতুন অঙ্ক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোঝিকোড়ে শুক্রবারের ম্যাচটিতে ছিল পরতে পরতে নাটক। এ বারের আই লিগের এটাই প্রথম ম্যাচ। যে খেলায় বিরতির পরে দু’দল খেলল দশ জন করে। চেন্নাইয়ের শ্রীনিবাসন পান্ডিয়ান এবং গোকুলমের অর্জুন জয়রাজ নিজেদের মধ্যে মারামারি করে লালকার্ড দেখলেন। বিরতির পরে দশ জন হয়ে গেলেও দক্ষিণের দু’দলই ম্যাচ জিততে মরিয়া হয়ে ওঠে। আর তখনই ঝলসে উঠলেন চেন্নাইয়ের মিডিয়ো পেদ্রো মেঞ্জি।

উরুগুয়েতে জন্ম হলেও স্পেনেই ব়ড় হয়েছেন চেন্নাইয়ের এই স্ট্রাইকার। শুরুতে পেদ্রো গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন চেন্নাইকে। কিন্তু এর পরেই গোকুলমের মুদে মুসা এবং জোয়েল সানডে পরপর দুটো গোল করায় উচ্ছ্বাসের ঢেউ ওঠে গ্যালারিতে।

Advertisement

কিন্তু বিরতির পরেই অন্য ছবি। কার্যত আগুনে হয়ে ওঠেন পেদ্রো। পরপর দুটি গোল করে তিনি শুধু চেন্নাইকে শীর্ষে রেখে দেওয়াই নয়, নিজেও হয়ে গেলেন প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা। এতদিন চার্চিল ব্রাদার্সের উইলিস প্লাজা সোনার বুটের দাবিদার হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে টপকে গেলেন পেদ্রো। প্লাজার ৯ গোল, পেদ্রোর ১০।

চেন্নাইও চমকপ্রদ ওই জয়ের দৌলতে লিগ টেবলের শীর্ষেই রয়ে গেল। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৪। রবিবারের মোহনবাগান বনাম রিয়াল কাশ্মীরের ম্যাচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল। কারণ গত বারো দিন শহরে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ভূস্বর্গের দলটি যদি রবিবার জিততে পারে, তা হলে খেতাবের লড়াইতে প্রবলভাবে থেকে যাবে তারা। আর শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল এই ম্যাচ জিততে না পারলে আরও সমস্যায় পড়বে। তা জানেন বলেই এই ম্যাচকে ‘বাঁচো অথবা মরো’ এই মনোভাব নিয়ে খেলার জন্য দিপান্দা ডিকাদের তাতাচ্ছেন কোচ।

তাঁর সুবিধা দলে ফিরছেন সনি নর্দে। ওমর এলহুসেইনিও চোট সারিয়ে ফিরেছেন। অরিজিৎ বাগুই এ দিন অনুশীলন না করলেও খেলবেন। পিন্টু মাহাতো ছাড়া সব ফুটবলারকে পেয়ে যাওয়ায় মোহনবাগান পুরো শক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে পারবে। রিয়াল কাশ্মীর এখন রয়েছে লিগ টেবলের তিন নম্বরে। নেরোকা এ দিন শিলং লাজংকে হারিয়েছে ৩-২ গোলে। মণিপুরের দলটি ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে রয়ে গিয়েছে লিগ টেবলের দু’নম্বরেই। ফলে কাশ্মীরের উপর চাপ আরও বেড়েছে।

খেতাবের ল়ড়াইতে থাকা দু’টি দল চেন্নাই এবং নেরোকা জিতে যাওয়ায় কলকাতার দুই প্রধান আরও চাপে পড়ে গিয়েছে। তবে মোহনবাগানের তুলনায় ইস্টবেঙ্গলের চাপ কম। তারা দু’টি কম ম্যাচ খেলেছে শীর্ষে থাকা প্রথম দু’দলের থেকে। আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দলের পরের ম্যাচ বিদেশিহীন ইন্ডিয়ান অ্যারোজের সঙ্গে কটকে। ওই ম্যাচ জিতলে তারা খেতাবের লড়াইয়ে প্রবল ভাবে থেকে যাবে। আজ শনিবার শহরে আসার কথা লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচের। ব্যক্তিগত কাজে স্পেনে গিয়েছেন তিনি। টোনি দোভাল এ দিন সই করে দেওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের গোল করার লোক বাড়ল। দেখার ইস্টবেঙ্গল কোচ কীভাবে তাঁকে ব্যবহার করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন