মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের চলতি বছরে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে আগেই। দিল্লির ফুটবল হাউস থেকে যে খবর মিলছে তা কার্যকর হলে, আগামী বছরেও অর্থাৎ ২০১৮-১৯ মরসুমেও হয়তো এক হচ্ছে না আইএসএল ও আই লিগ। ফলে আই লিগেই খেলতে হবে কলকাতার দুই প্রধানকে।
দিন কয়েক আগেই ফেডারেশন সচিব ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ১৮টি দলকে নিয়ে গোটা ভারতে একটি লিগ আয়োজন করার চিন্তাভাবনা চলছে। দ্বারকার ফুটবল হাউস চুঁইয়ে যে খবর বেরিয়ে এসেছে তা অনুযায়ী, ১৮ দলকে নিয়ে গোটা ভারতে একটাই লিগ হতে পারে আরও এক বছর পরে ২০১৯-২০ মরসুম থেকে। কারণ, ওই মরসুম থেকে এক শহর এক দল-এর বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সে ক্ষেত্রে আইএসএলের দশটি টিমের সঙ্গে আই লিগের আটটি দল স্থান পেতে পারে প্রস্তাবিত ওই নতুন লিগে। এমনও শোনা যাচ্ছে প্রস্তাবিত ওই লিগে আইএসএল-এর দলগুলোর অবনমন না থাকলেও আই লিগের দলগুলোর অবনমন থাকবে। তবে ওই সম্মিলিত লিগে আই লিগের আটটি টিমকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিতে হবে কি না সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি ফেডারেশন কর্তারা।
সূত্রের খবর, ভারতীয় ফুটবল নিয়ে সঠিক রূপরেখা ঠিক করতে গিয়ে বহু প্রস্তাবের মধ্যে এই প্রস্তাবই অগ্রাধিকার পাচ্ছে এএফসি-র কাছে। যা কানে এসেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কর্তাদেরও। তবে এই প্রস্তাবে এখনও সিলমোহর পড়েনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। চলতি বছরের শেষ দিকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন:
ডার্বি জিতিয়ে ম্যান ইউয়ের নায়ক লুকাকু
আরও জানা গিয়েছে, মালয়েশিয়ায় বসে ভারতীয় ফুটবলের পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর সংগ্রহ করছেন এএফসি কর্তারা। এ ছাড়াও আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি, আই লিগের ক্লাব, ফেডারেশনের কর্মসমিতি, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক, গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাজ্য সংস্থা—এদের সকলের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করে প্রত্যেকের প্রস্তাব, পরামর্শ ও তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব সম্পর্কে কী অনুসিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসছে তাও জানতে বলা হয়েছে ফেডারেশনকে। যে প্রক্রিয়া পুরোদমে চলার কথা সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে। সেখানে থাকতে পারেন এএফসি কর্তারাও।
ফেডারেশন সচিবের মতে, প্রতিটি ক্লাব ও ফ্র্যাঞ্চাইজির সমর্থক, ফুটবল বিপণন-কৌশল, ফুটবল প্রসারে ভূমিকা নিয়েও বিশ্লেষণ করবেন এএফসি কর্তারা। সবার সঙ্গে আলোচনার পরে নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবলের রূপরেখা কী হবে, সে সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে এএফসি।