শাস্তি না দেওয়ার আবেদন লাল-হলুদের

রবিবার ইস্টবেঙ্গলের শুনানি ছিল। প্রথমে লাল-হলুদের বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধির বক্তব্য শোনেন ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:০১
Share:

সুপার কাপ বয়কট করায় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শাস্তির মুখে আই লিগের সাত ক্লাবের বিদ্রোহী জোট। এই প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে লাল-হলুদ শিবির দু’ভাগে বিভক্ত। এক দিকে সুপার কাপে খেলার পক্ষে থাকা ক্লাব কর্তারা। অন্য দিকে জোটের অন্যতম শরিক বিনিয়োগকারী সংস্থা। অথচ ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি যাতে শাস্তি না দেয় তার জন্য উদ্যোগী হলেন লাল-হলুদ কর্তারাই।

Advertisement

চব্বিশ ঘণ্টা আগে নয়াদিল্লির ফুটবল হাউজে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির শুনানিতে দু’জন আইনজীবীকে নিয়ে গিয়েছিলেন মোহনবাগানের প্রতিনিধিরা। রবিবার ইস্টবেঙ্গলের শুনানি ছিল। প্রথমে লাল-হলুদের বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধির বক্তব্য শোনেন ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যেরা। পরে ক্লাবের কর্মসমিতির এক সদস্য তাঁর বক্তব্য পেশ করেন। চার্চিল ব্রাদার্স এবং গোকুলম এফসি-র বক্তব্য শোনা হয়।

ফেডারেশন সূত্রে খবর, ইস্টবেঙ্গলের কর্মসমিতির সদস্য শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যদের বলেছেন, ক্লাবের কর্মসমিতির বৈঠকে সুপার কাপে খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিনিয়োগকারী সংস্থা রাজি হয়নি। তবুও ক্লাবের তরফে চেষ্টা করা হয়েছিল, সভাপতি একাদশ নামে সুপার কাপে খেলার। কিন্তু ফেডারেশন তার অনুমতি দেয়নি। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যেরা জানতে চান, কর্মসমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত কি লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল? ইস্টবেঙ্গলের তরফে সেই বৈঠকের সব তথ্য এ দিন দেওয়া হয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে। দ্বিতীয়ত, ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসে কখনও প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহারের নজির নেই। শতবর্ষে শাস্তি না দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

Advertisement

সুপার কাপ বয়কটের জন্য বাকি ক্লাবগুলোকেও যাতে শাস্তি না দিয়ে সতর্ক হয়, সেই আর্জি জানিয়েছেন লাল-হলুদের প্রতিনিধি। তাঁর যুক্তি ছিল, ভারতীয় ফুটবলে এ ধরনের ঘটনা অতীতে ঘটেনি। তাই সব ক্লাবেরই যেন শাস্তি মকুব করা হয়। পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য সব দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রূপরেখা প্রস্তুত করার অনুরোধ করেন তিনি। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান ঊষানাথবাবু বললেন, ‘‘সবার বক্তব্য শুনেছি। সব কিছু খতিয়ে দেখেই কয়েক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন