দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত লাল-হলুদ সমর্থকরা। ছবি: ইস্টবেঙ্গলের টুইটার সৌজন্যে।
জয়ের ধারা অব্যহত ইস্টবেঙ্গলের। জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ঘরের মাঠে শিলং লাজং এবং চার্চিল ব্রাদার্সকে হারানোর পর শুক্রবার কোয়ম্বত্তূরের জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে চেন্নাই সিটি এফসিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দিল অর্ণব মণ্ডলের দল।
তবে, ম্যাচ শুরুর আগে খেলা হওয়া নিয়ে সাময়িক একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। মাঠের অবস্থা খারাপ থাকায় খেলতে অনীহা দেখায় লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্তে অন্য কোনও দল থাকলেও হয়তো এই মাঠে খেলা নিয়ে বিরোধিতা করত। যে মাঠে আজ খেলা হল, তার অধিকাংশ জায়গায় ঘাস নেই। মাঠে প্রায় ৭০-৮০টি গর্ত। পরে গর্ত ভরাট করা হয় বালি দিয়ে। সমর্থরদের একটা অংশ গলা ফাটিয়ে বলেছেন, ফুটবল খেলা তো দূরের কথা, এ মাঠ গরু চরানোর উপযুক্তও নয়। ম্যাচ শেষে লাল-হলুদ অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডল বলেন, “ফুটবলের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয় এ মাঠ। ফুটবলারদের জীবনের ঝুঁকি ছিল! আমরা ভাগ্যবান যে, দলের কেউ কোনও চোট পাননি।”
তবে সাময়িক জটিলতা কাটিয়ে নির্ধারিত সময়েই খেলা শুরু হয়। পর পর দু’ম্যাচ জেতার কারণে এ দিন শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল ইস্টবেঙ্গল। মাঠের অবস্থা খারাপ হলেও ইস্টবেঙ্গলের খেলায় তার বিশেষ প্রভাব পড়েনি। ম্যাচের শুরু থেকেই অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন আল আমনা-চার্লস ডি’সুজারা। তারই সুবাদে ম্যাচের ২৭ মিনিটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন কাটসুমি ইউসা। আল-আমনার বাড়ানো ক্রস থেকে গোল করতে ভুল করেননি মোহনবাগান থেকে আসা এই জাপানি ফুটবলার।
আরও পড়ুন: সচিনের সাফল্যের থেকে ব্যর্থতাই বেশি: দ্রাবিড়
আরও পড়ুন: স্মিথ-রুটদের তুলনায় কি আদৌ এগিয়ে বিরাট, দেখুন তথ্য কী বলছে
কাটসুমির গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গোল! এ বার গোলদাতা চার্লস ডি’সুজা। ম্যাচের ৩১ মিনিটে লাল-হলুদ জার্সিতে প্রথম গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ২ গোলের লিড এনে দেন চার্লস। পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করতে ভুল করেননি এই ব্রাজিলীয়।
তবে এর পর আর গোলের খাতা খুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এরই মধ্যে ম্যাচের ৪৩ মিনিটে গোল করে চেন্নাই সিটি এফসির হয়ে ব্যবধান কমান অ্যালেকজান্ডার রোমারিও জেসুরাজ।
প্রথমার্ধ শেষে খেলার ফল ইস্টবেঙ্গল ২, চেন্নাই সিটি এফসি ১। এই স্কোরলাইনই বহাল থাকে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত। বহু চেষ্টা করেও দ্বিতীয়ার্ধে কোনও দল আর গোল করতে পারেনি। দু’টি দলই ফুটবলার পরিবর্তন করে। কিন্তু, ফারাক হয়নি খেলার ফলে। এর মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল বক্সের বাইরে দু-দু’বার সুবিধাজনক জায়গা থেকে ফ্রিকিক পেয়েও সুবিধা নিতে পারেননি এডউইন-জোয়াকিমরাএ দিনের জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লাল-হলুদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান আছে চতুর্থ স্থানে।