নায়ক: লাজংয়ের বিরুদ্ধে জোড়া গোল পেইনের। ছবি: এআইএফএফ।
শিলং লাজং ১ (দীপান্দা)
ইস্টবেঙ্গল ২ (পাইন-২)
কিছু দিন আগেই শিলিগুড়ির মাঠে এই লাজংয়ের কাছেই আটকে যেতে হয়েছিল। মোহনবাগানের সঙ্গে ডার্বি ড্রয়ের ঠিক পরের ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকারের জোড়া গোলে লাজং জয় ইস্টবেঙ্গলের। তাঁর প্রথমার্ধের গোলেই শিলংয়ের মাটিতে জয়ের কাহিনি লেখা হয়ে গিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেডের। এমনিতে শিলংয়ের মাটিতে লাজংয়ের কাছে বার বার আটকে যেতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু এ বার উল্টো পথেই হাঁটল মরসুমের আই লিগের সব থেকে বড় দাবিদার।
আরও খবর: মোহনবাগানের হারের ম্যাচে ভিলেন লোডশেডিং
ম্যাচ শুরুর ন’মিনিটের মধ্যেই গোলের মুখ খুলে ফেলেছিলেন এশিয়ান কোটার স্ট্রাইকার ক্রিস পাইন। গোলের খোঁজেই ছিলেন এই স্ট্রাইকার। সুযোগ পেতেই কাজে লাগালেন। আর সেখানে ভূমিকা রেখে গেল লাজংয়ের রক্ষণ ও গোলকিপার। পাইন যখন গোলে শট নিচ্ছিলেন তখন গোল ছেড়ে অনেক দরে লাজংয়ের গোলকিপার বিশাল। ১২ মিনিটেই সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ নষ্ট করে থাংবোই সিংতোর ছেলেরা তখনই পিছিয়ে পড়েছিলেন। এর পর গোল পেলেও পয়েন্ট কাড়তে ব্যর্থ হোম টিম। ১৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টির আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। তা বলে লড়াই ছেড়ে দেননি মেহতাব, রবিন সিংহরা। ২১ মিনিটে বিপিনের শট যখন কয়েক ইঞ্চির জন্য গোল মিস করল তখন পুরো স্টেডিয়াম ম্যাচে ফেরার উচ্ছ্বাসে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাসে বড় ধাক্কা দিয়ে গেল মিস। ৩৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ালেন সেই ক্রিস পাইনই। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়েছিল ২-০ গোলেই। দ্বিতীয়ার্ধে আর গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। সেই সুযোগে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল শিলং লাজং। কিন্তু গুচ্ছের মিস জিততে তো দিলই না, এক পয়েন্টও নিয়ে শেষ করতে পারল না হোম টিম।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান কমালেন লাজংয়ের দীপান্দা ডিকা। একাধিক গোল মিসের পর ৬৪ মিনিটে শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে গোলের মুখ খুলতে সক্ষম হয় লাজং। এর পরই নিখিল পূজারীকে তুলে লালরিনডিকাকে নিয়ে আসেন মর্গ্যান। ৭১ ও ৭৫ মিনিটে আবারও গোলের মিসের তালিকা দীর্ঘ করলেন লাজং ফুটবলাররা। এর পর গুরবিন্দরকে তুলে আনোয়ারকে নিয়ে আসেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। এর পরটা অবশ্য শুধুই ঘর বাঁচানোর লড়াই। কিন্তু ঘরের মাঠে অসংখ্য গোল মিস করে রীতিমতো হতাশ লাজং শেষ পর্যন্ত গোল মিসই করে গেল। সমতায় ফিরতে পারল না।
ইস্টবেঙ্গল: রেহনেশ টি পি, রবিন গুরুঙ্গ, ইভান বুকেনিয়া, গুরবিন্দর সিংহ (আনোয়ার আলি), রবার্ট লালথালমুয়ানা, নিখিল পূজারি (লালরিনডিকা রালতে), মেহতাব হোসেন, রওলিন বর্জেস, মহম্মদ রফিক, ক্রিস্টোফার পেইন (রোমিও ফার্নান্দেজ) ও রবিন সিংহ।