হাসপাতালে আমনা, তবুও চান কোচ

পিঠের পেশির ব্যথায় কাতরাতে থাকা আল আমনাকে সোমবার রাতে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৩০
Share:

মালয়েশিয়া থেকে এই ভাবেই ফিরলেন ইস্টবেঙ্গলের আল আমনা। নিজস্ব চিত্র

পিঠের পেশির ব্যথায় কাতরাতে থাকা আল আমনাকে সোমবার রাতে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে। মঙ্গলবার সারাদিন সিরিয়ান মিডিও ছিলেন সেখানেই। তা সত্ত্বেও তাঁকে ইম্ফলে নিয়ে যেতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ।

Advertisement

মালয়েশিয়া থেকে সোমবার মধ্যরাতে শহরে ফিরেছে আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দল। একুশ দিনের প্রস্তুতি শিবিরের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরই আমনার পিঠে ব্যথা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ডাক্তার দেখানো হয়। দেওয়া হয় ইঞ্জেকশনও। তাতেও ব্যথা কমেনি। ইস্টবেঙ্গলের এক কর্তা মঙ্গলবার বললেন, ‘‘এটা ওর পুরনো ব্যথা। মাঝেমধ্যে হয়। চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’ আমনার এম আর আই রিপোর্টেও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।

আমনার পিঠের ব্যথা না কমলেও তাঁকে দলের সঙ্গে চাইছেন আলেসান্দ্রো। শুধু তাই নয়, কুয়ালা লামপুরে যে ২৪ জন ফুটবলার গিয়েছিলেন তাঁদের সবাইকে নিয়েই শিলং যেতে চাইছেন জনি আকোস্তাদের কোচ। সাধারণত আঠারো জন ফুটবলারকেই বাইরের মাঠে ম্যাচ খেলার জন্য বেছে নিয়ে যাওয়া হয়। কোচের এই দাবিতে তাই কিছুটা হতবাক কর্তারা। কোচ, ম্যানেজার মিলে মোট ৩৩ জনের দল তাই আজ ইম্ফল রওনা হচ্ছে নেরোকা এফ সি-র সঙ্গে ম্যাচ খেলতে। স্পনসররা রাজি হওয়ায় লাল-হলুদ কর্তারা তাতে সায় দিয়েছেন। শুধু আমনা যাচ্ছেন দু’দিন পরে।

Advertisement

আজ বুধবার সকালে যুবভারতীতে অনুশীলন করেই সরাসরি ইম্ফলের বিমান ধরতে যাবেন কিংশুক দেবনাথ, জোবি জাস্টিনরা। এ দিকে এ দিনই মেক্সিকোর স্ট্রাইকার এনরিকে এসকিউদোকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল। মালয়েশিয়ায় প্রস্ততি ম্যাচে তাঁকে দেখে পছন্দ হয়েছে লাল-হলুদ কোচের।

দুই প্রধান নিয়ে ইঙ্গিত ফেডারেশনের: পরের মরসুমে কলকাতার দুই প্রধান যে ইন্ডিয়ান সুপার লিগেই খেলবে সেই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ফেডারেশন কর্তারা। মঙ্গলবার দিল্লিতে আই লিগের ট্রফি উম্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফেডারেশন কর্তারা সরাসরি অবশ্য ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের নাম করেননি।

তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত এবং সচিব কুশল দাশ জানিয়ে দেন, পরের বার ভারতীয় ফুটবলের পুর্ণগঠন হবে। সেখানে আই লিগের কয়েকটি দল চলে যাবে। তাতে আই লিগ বন্ধ হবে না। হয়তো নতুন নামকরণ করা হবে আই লিগের। সেখানে নতুন কিছু দল নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি নতুন দল চেয়ে দরপত্র চাওয়া হবে আইএসএলের পক্ষ থেকে। তারপরই ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান তা তুলে জমা দেবে। পরিস্থিতি যা তাতে এ বারের প্রতিযোগিতা হবে কলকাতার দুই প্রধানের কাছে শেষ আই লিগ।

এ দিন ১০ রাজ্যের ১১ ক্লাবের বিদেশি ও স্বদেশী ফুটবলার এনে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছিলেন ফেডারেশন কর্তারা। ২৬ অক্টোবর চেন্নাই এফ সি বনাম ইন্ডিয়ান অ্যারোজ ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে আই লিগ। তার তিন দিন আগে জনি আকোস্তা, দিপান্দা ডিকা, লালরিন্দিকা রালতে, শিল্টন পালদের ডাকা হয়েছিল দিল্লিতে। তবে সবথেকে বেশি আকর্ষণ ছিল কাশ্মীর থেকে আসা রিয়াল কাশ্মীর দলের ফুটবলারদের নিয়ে। ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল ছিলেন
না অনুষ্ঠানে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন