সুপার কাপে খেলা নিয়ে বিভাজন স্পষ্ট হল ইস্টবেঙ্গল অন্দরমহলে। পরের মরসুমে আইএসএলে খেলা নিয়েও লাল-হলুদ কর্তাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারী সংস্থার দূরত্ব বাড়ছে।
ক্লাব কর্তাদের একাংশ মরিয়া আইএসএলে খেলতে। কিন্তু বিনিয়োগকারী সংস্থা এখনও ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। ফলে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রধানকে চিঠি লিখলেন ইস্টবেঙ্গল সচিব।
১১ এপ্রিল ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ইস্টবেঙ্গলের দুই প্রতিনিধি। বৈঠকেই ফেডারেশনের কর্তারা সরাসরি বলেন পরের মরসুমে ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলবে কি না জানাতে হবে। যাতে তাঁরা আইএসএলের আয়োজকদের সঙ্গে কথা শুরু করতে পারেন।
কলকাতার দুই প্রধান আগে আইএসএলে খেলার ব্যাপারে আগ্রহ দেখালেও পরে পিছিয়ে আসে। তবে লাল-হলুদ কর্তাদের একাংশ বরাবরই আইএসএলে খেলার পক্ষে। এই কারণেই ১১ এপ্রিলের বৈঠকের পরে ইস্টবেঙ্গলের সচিব চিঠি পাঠান বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রধানকে। তিনি লিখেছেন, আইএসএলে খেলা নিয়ে বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রধান কী ভাবছেন স্পষ্ট ভাবে জানাতে। কারণ, ফেডারেশনের কর্তারা দ্রুত ইস্টবেঙ্গলের সিদ্ধান্ত জানতে চান।
আইএসএলে খেলা নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই সামাদ আলি মল্লিকের সঙ্গে আরও তিন বছরের চুক্তি করল ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের কয়েকটি ক্লাবের প্রস্তাব ছিল তাঁর কাছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ইস্টবেঙ্গলেই খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন সামাদ। এ দিন মোহনবাগান ক্লাবেও সভায় বসেছিলেন কর্তারা। যেখানে আই লিগে ও বিদেশি কোচ নিয়েই আলোচনা হয়েছে।