প্রতীকী ছবি।
জোড়া ম্যাচ জিতেও স্বস্তি উধাও ইস্টবেঙ্গলে। চিন্তার প্রথম কারণ যদি হয়, উইলিস প্লাজার জঘন্য পারফরম্যান্স, তা হলে দ্বিতীয় কারণ প্লাজা ও কার্লাইল মিচেলের জাতীয় দলে ডাক পাওয়া।
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের দু’টো ম্যাচে মোট সাত গোল ছয় গোল করেছে খালিদ জামিলের দল। কিন্তু ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর তারকা স্ট্রাইকার প্লাজার কোনও গোল নেই। আজ শনিবার পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে তিন নম্বর ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের। ওই অফিস ক্লাবটি যথেষ্ট শক্তিশালী। ফুজা তোপের মতো বুদ্ধিমান কোচ ছাড়াও ডোডোজের মতো বিদেশি আছেন টিমে। সঙ্গে রহিম নবির মতো ফুটবলার। প্রথম দু’টি ম্যাচে খালিদের টিমের মতোই জয় পেয়েছে পিয়ারলেস। এই অবস্থায়, প্লাজাকে চাঙ্গা করতে লাল-হলুদ কোচ শুক্রবার অনুশীলনের আগে ও পরে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। তাঁকে বোঝান, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। গোল পেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
শনিবার কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ
ইস্টবেঙ্গল বনাম পিয়ারলেস (ইস্টবেঙ্গল ৩-০০)।
পিয়ারলেসকে অবশ্য হালকাভাবে নিচ্ছেন খালিদ। এ দিন অনুশীলনের পর তিনি বলে দেন, ‘‘দুটো ম্যাচ জিতলেও টিম ভাল খেলছে না সেটা আমি জানি। একটাই ভাল দিক জিতছি এবং গোল হচ্ছে।’’ লিগের তিন নম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী পিয়ারলেসকেও খাটো করে দেখতে চাইছেন না খালিদ। বললেন, ‘‘কোনও টিমকে খাটো করে দেখি না। পিয়ারলেসকে তো নই-ই।’’ডাক এসেছিল সিরিয়ার আল আমনারও। কিন্তু তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে যেতে চাইছেন না। আমনা অবশ্য বহু দিন দেশ ছেড়েছেন। থাকেন মিশরে। তাঁর স্ত্রী-ও মিশরীয়। ফলে ওই সময় মাত্র একজন বিদেশি নিয়েই লিগের ম্যাচ খেলতে হতে পারে খালিদকে। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল সচিব রজত গুহ বললেন, ‘‘যা অবস্থা লিগের দু’তিনটে ম্যাচে দল গড়তেই তো সমস্যা হবে। প্লাজা বা মিচেলকে ছাড়তেই হচ্ছে বাধ্য হয়ে।’’ এ দিকে এরই মধ্যে সুখবর ছাড়পত্র চলে আসায় কেরলের স্ট্রাইকার জবি জাস্টিনের সই হল।