লাস্ট বয়ের কাছেও হারল ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রায় এক মাস। কিন্তু লাল-হলুদের ডাচ কোচ এলকো সতৌরির সাফল্যের গ্রাফ চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়েই চলছে। ষোলো দিন আগে আই লিগে ডেম্পোকে পাঁচ গোলের মালা পরানোর দিন শুরুতেই গোল করার ফায়দা তুলেছিল ইস্টবেঙ্গল। আর মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে এএফসি কাপের ম্যাচে বালেস্তিয়ার খালসার বিরুদ্ধে কুড়ি মিনিটেই দু’গোলে পিছিয়ে ম্যাচের রাশ বিপক্ষের হাতে তুলে দিল এলকোর টিম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৫ ০৪:৩৮
Share:

বালেস্তিয়ার খালসা এফসি-২ (জোনাথন, ক্রিস্টিচ)

Advertisement

ইস্টবেঙ্গল-১ (ডুডু)

Advertisement

ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রায় এক মাস। কিন্তু লাল-হলুদের ডাচ কোচ এলকো সতৌরির সাফল্যের গ্রাফ চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়েই চলছে।

ষোলো দিন আগে আই লিগে ডেম্পোকে পাঁচ গোলের মালা পরানোর দিন শুরুতেই গোল করার ফায়দা তুলেছিল ইস্টবেঙ্গল। আর মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে এএফসি কাপের ম্যাচে বালেস্তিয়ার খালসার বিরুদ্ধে কুড়ি মিনিটেই দু’গোলে পিছিয়ে ম্যাচের রাশ বিপক্ষের হাতে তুলে দিল এলকোর টিম। তাও আবার সেই দলের বিরুদ্ধে যাঁরা র্যান্টিদের হারানোর আগে গ্রুপে কোনও জয় পায়নি। ম্যাচ শেষে সতৌরিও বলেন, “ওদের দু’টো গোলই আমরা উপহার দিলাম। প্রথমার্ধে রক্ষণের কেঁপে যাওয়ার কোনও ব্যাখা নেই।”

একে প্রথম একাদশের চার ফুটবলার ব্যস্ত জাতীয় দলে। দ্বিতীয়ত, মেহতাব ও রক্ষণের হতশ্রী পারফরম্যান্স। শেষ দিকে দর্শনীয় সাইডভলিতে ডুডু ১-২ করলেও ততক্ষণে ম্যাচের দখল নিয়ে নিয়েছে বালেস্তিয়ার। আসলে দিনের শুরুতেই বালেস্তিয়ার ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্রিস্টিচের দাপটে কেঁপে গিয়েছিলেন দীপক-রাজুরা। অতীতে এই পরিস্থিতিতে ত্রাতা হয়ে দাঁড়াতেন মেহতাব। কিন্তু তিনি এখন অতীতের ছায়া। ছ’ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদ রক্ষণে উড়ে আসা বল কিপার অভিজিৎ মণ্ডল ফিস্ট করে বের করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পেনাল্টি বক্সের মাথায় সেই বলই ক্লিয়ার করতে পারলেন না মেহতাব। নিটফল, বঙ্গসন্তান মিডিওর থেকে বল কেড়ে হেলায় গোল করে যান জোনাথন।

লাল-হলুদের বিপদ আরও বাড়ে স্টপার মিলান সুসাক আহত হয়ে ষোলো মিনিটের মাথায় বেরিয়ে যাওয়ায়। মিলানের জায়গায় গুরবিন্দর নামার তিন মিনিটের মধ্যেই ফের গোল হজম ইস্টবেঙ্গলের। মিরোস্লাভ ক্রিস্টিচ যখন দলের দ্বিতীয় গোল করছেন তখন জায়গায় ছিলেন না গুরবিন্দররা।

ইস্টবেঙ্গল অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয় ম্যাচের আধঘণ্টা পর। প্রথমার্ধের বাকি সময়টা সিঙ্গাপুরের দলটির রক্ষণে ঝড় তুলেছিলেন র্যান্টি, ডুডুরা। কিন্তু বিপক্ষ রক্ষণ এবং কিপারের দক্ষতায় গোল পায়নি এএফসি কাপে কলকাতার চ্যালেঞ্জাররা। দ্বিতীয়ার্ধে মেহতাবের জায়গায় সুখবিন্দর এবং জোয়াকিমের বদলে বলজিতকে নামিয়ে জোরদার আক্রমণের চাল দিয়েছিলেন এলকো। কিন্তু সেই টোটকাতেও তিন পয়েন্ট আসেনি লাল-হলুদের ঘরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement