ইস্টবেঙ্গল ০
শিবাজিয়ান্স ১ (জিরে)
প্রচুর সুযোগ তৈরি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলের ভান্ডার শূন্যই থেকে গেল ইস্টবেঙ্গলের। ডার্বির হারের পর অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে ক্লাবে। মর্গ্যান তাড়াও ধ্বনী উঠেছে। কোচ থেকে ফুটবলার এমন কী কর্তাদের উপরও চড়াও হয়েছেন সমর্থকরা। গত শুক্রবারেরই ঘটনা। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল দল যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই থেকে গেল। বারাসতে ডিএসকে শিবাজিয়ান্সের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেলেন মেহতাব হোসেনরা। আরও সঙ্কটে চলে গেল মর্গ্যানের ভাগ্য। এমনিতে আই লিগ শেষ হওয়ার অপেক্ষা। তার পরই বিদায় হয়ে যাবে মর্গ্যানের। এই হারে তার আগেই না তিনি ফিরে যান দেশে।
আরও খবর: শিলংয়ের সঙ্গে ড্রয়ের পর জয়ে ফিরল বাগান
২৯ মিনিটে জেরি গোলে যে এগিয়ে গিয়েছিল শিবাজিয়ান্স সেটা থেকে আর ফিরতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। হোলিচরণের কর্ণার থেকে কুইরো হয়ে বল পেয়ে গিয়েছিলেন জেরি। এক লাইটে দাঁড়িয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে টপকে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন জেরি। নিজের জায়গা ছেড়ে ততক্ষণ বেরিয়ে এসেছেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার শুভাশিস রায় চৌধুরী। সেই সুযোগেই ফাঁকায় গোল করে গেলেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই প্লেয়ার। এ ছাড়া পুরো ম্যাচে যা গোলের সুযোগ নষ্ট করল ইস্টবেঙ্গল তা দেখে ফুটবলারদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন জাগতে পারে। প্রশ্ন উঠছে এ ভাবেও গোল মিস করা যায়? কখনও পাইন, কখনও বিকাশ জাইরু তো কখনও রবিন সিংহ, ওয়েডসন। গোল মিসের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেললেন সকলেই।
ইস্টবেঙ্গল অনুশীলন।
আর সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন ভারতের সেরা গোলকিপার সুব্রত পাল। শিবাজিয়ান্সের গোলের নিচে দাঁড়িয়ে একের পর এক ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত করে গেলেন। যা গোল বাঁচালেন সুব্রত বা ইস্টবেঙ্গল যে ভাবে সুযোগ নষ্ট করল সব গুলো হলে ১০ গোল দিতে পারত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে একটিও গোল করতে পারল না লাল-হলুদ ব্রিগেড। আই লিগের যা এক ইঞ্চিও সম্ভাবনা ছিল তা শেষ হয়ে গেল। হাতে রয়েছে আর মাত্র দুটো ম্যাচ। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। আরও একটা আই লিগ কাছে গিয়েও হারিয়ে এল কলকাতার দল।