স্বপ্ন: ভারতীয় দলে খেলতে চান সামাদ আলি মল্লিক। নিজস্ব চিত্র
উইং ধরে উঠে গিয়ে প্রায় তিরিশ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত গোলটা করলেন। বল মারার সময় ভেবেছিলেন গোল হবে? ‘‘সত্যিই ভাবিনি গোলটা পাব। আমি তো বলটা সাদার্ন সমিতির বক্সের ভিতর ফেলতে চেয়েছিলাম। বলটা গোলে ঢুকে গেল।’’ কোনওরকম রাখঢাক না রেখেই বলে দেন সামাদ আলি মল্লিক। লাল-হলুদ জার্সিতে জীবনের প্রথম গোল।
যেমন ডার্বির কথা উঠতেই ঝকঝক করে ওঠে ইস্টবেঙ্গল রাইট ব্যাকের মুখ। জেদ-ও ধরা পড়ে যায়। ‘‘ওই ম্যাচটা খেলার জন্যই তো অপেক্ষা করছি। কোনওদিন খেলেনি। মোহনবাগানকে হারাতেই হবে। দেখে নেবেন ওদের আজহারউদ্দিনকে নড়তেই দেব না। আমাকে টপকাতেই পারবে না।’’
তিন বছর হল ইস্টবেঙ্গলে খেলছেন। পাঁচ-ছটার বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি আগের দু’বছর। এ বার কলকাতা লিগে নেমেই চমকে দিচ্ছেন হুগলির গোপালগঞ্জের সামাদ। উইং ধরে উঠে একের পর এক সেন্টার তুলছেন বিপক্ষের বক্সে। যা থেকে গোলও হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘মোদী, বচ্চন স্যার খুব উদ্বুদ্ধ করেছেন’
বাবা মারা গিয়েছেন ছোটবেলায়। দাদা জুয়েলারি দোকানে কাজ করেন। তাতেই চলে সংসার। বাসে-ট্রেনে যাতায়াত করেন। অনুশীলন করেন উত্তরপাড়ার নেতাজি ব্রিগেডে। প্রীতম কোটাল, দেবজিৎ মজুমদারদের সঙ্গে। ‘‘প্রীতম দা আমার আইডল। সব সময়ই আমাকে উৎসাহ দেন। ওকে ফলো করি। দেশের হয়ে খেলাই লক্ষ্য।’’ বলে দেন বছর একুশের সামাদ। খেলার স্টাইল অনেকটা প্রাক্তন তারকা সাইড ব্যাক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের মতো বলছেন বিশেষজ্ঞরা। নাছোড় মনোভাবের সঙ্গে পরিশ্রম। সামাদের প্লাস পয়েন্ট। তবে খামতি আছে হেডিংয়ে। পাসিংয়ে দক্ষতা বাড়ানো দরকার।
ইস্টবেঙ্গলে চার্লস—ইউসা কাতসুমিকে তুলে নিয়ে চমকে দেওয়ার পর ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার চার্লস ডি’সুজাকে নিল ইস্টবেঙ্গল। চার্লস খেলেছেন ডেনমার্কের ক্লাবে। চেনা এই বিদেশিকে গত বছর আইএসএলে দেখা গিয়েছিল চেন্নাইয়ান এফ সি-র জার্সিতে।