চোটের জন্য ছয় সপ্তাহ বাইরে চলে গেলেন এনরিকে এসকুয়েদা। —ফাইল চিত্র।
ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলে বড় ধাক্কা। দলের এক নম্বর স্ট্রাইকার এনরিকে এসকুয়েদা চোটের জন্য ছয় সপ্তাহ বাইরে চলে গেলেন। ক্লাব সূত্রের খবর মেক্সিকোর ফুটবলারটিকে ছেড়ে দিয়ে নতুন ফুটবলার নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের সঙ্গে কথা বলেই আজ মঙ্গলবার তাঁকে ফেরাত পাঠানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হবে।
গোকুলম না, পঞ্জাব মিনার্ভা, কোন ম্যাচে চোট পেয়েছেন এনরিকে, তা তিনি জানাতে পারছেন না ডাক্তারদের। দু’রকম কথা বলছেন তিনি। সোমবার তাঁকে পরীক্ষা করার পর ইস্টবেঙ্গল সহ সচিব ও ডাক্তার শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বললেন, ‘‘ওর পাঁজরের একটি হাড়ে চিড় ধরেছে। যা জুড়তে অন্তত ছয় সপ্তাহ লাগবে। তারপর রি-হ্যাব করতে হবে আরও দু’সপ্তাহ। ইঞ্জেকশন নিয়ে এবং ব্যান্ডেজ বেঁধে কোচ যদি খেলায় আলাদা কথা।’’ ডাক্তারের মনোভাব জানার পর ফুটবল বিভাগের এক কর্তা বললেন, ‘‘নতুন ফুটবলার খুঁজতে শুরু করেছি। এনরিকেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’’
এনরিকের পরিবর্ত কবে আসবে কেউ জানে না। আই লিগে ভাল জায়গায় নেই ইস্টবেঙ্গল। এই অবস্থায় ছাঁটাই করে দেওয়া আল আমনার জায়গায় বেঙ্গালুরুতে খেলে যাওয়া স্ট্রাইকার অন্তোনিও রদরিগেজ ডোভালকে নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তাঁর ডাক নাম টোনি। বেঙ্গালুরু থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর সাইপ্রাসের ক্লাব নিয়া সালামিস ফেমেগুস্তা ক্লাবে খেলেছেন গত বছর। স্পেনের ফুটবলারটির দু’একদিনের মধ্যেই চলে আসার কথা।
টোনির নাম এ দিন ক্লাব কর্তারা জানানোর পাশাপাশি কেভিন লোবো এবং দেবজিৎ মজুমদারের নামও ভেসে উঠেছে ময়দানে। দু’জনেই এখন এটিকেতে খেলছেন। লিয়েনে তাঁদের আসার কথা ইস্টবেঙ্গলে। এটিকের পক্ষ থেকে অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ফুটবলরাকেই তাঁরা ছাড়েননি।
এ দিকে ইস্টবেঙ্গলে যখন বিদেশি নিয়ে নানা শোরগোল তখন মোহনবাগানে ডার্বির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ দিন জিম করেছেন ফুটবলাররা। মাঠমুখো হননি সনি নর্দে। তাঁর চোট রয়েছে। ফুটবলারদের কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কর্তারা।