ইস্টবেঙ্গল-চার্চিল ব্রাদার্স ম্যাচের একটি মুহূর্ত। সেদিন চার্চিল ছিল প্রতিপক্ষ আজ তাদেরই জয় চাইছে লাল-হলুদ। ছবি: চার্চিল ব্রাদার্সের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।
মাণ্ডবী তীরে আজ চোখ ইস্টবেঙ্গলের। রাজধানীর হোটেলে বসে দুরুদুরু বুকে টেলিভিশনের পর্দায় নজর রাখবেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।
চার্চিল ব্রাদার্স জিতলে হাজার ওয়াটের আলো ফুটবে আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজ ব্রিগেডের মুখে। সে ক্ষেত্রে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য চেন্নাই সিটি এফসি-কে অপেক্ষা করতে হবে মিনার্ভা-ম্যাচের জন্য।
বৃহস্পতিবারই রিয়াল কাশ্মীরকে মাটি ধরিয়ে ইস্টবেঙ্গল আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। লাল-হলুদ ফুটবলারদের মতোই দেশের তামাম ফুটবলপ্রেমীর চোখ আটকে শুক্রবারের বিকেলের ম্যাচের ফলাফলের দিকে। কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের সিইও সঞ্জিৎ সেন বলছেন, ‘‘আমাদের জন্য অনুকূল ফলাফল হলেই ভাল। তা হলে আমাদের সামনে সুযোগ খোলা থাকবে।’’ অনুকূল ফলাফল মানে চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে হারতে হবে চেন্নাইকে। এ দিনের ম্যাচ ড্র হলে, পরের আইজল ম্যাচ ড্র করলেই চেন্নাই কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। ইস্টবেঙ্গল পরবর্তী দুটো ম্যাচ জিতলেও লাভ হবে না।
আরও পড়ুন — খেতাবের স্বপ্ন বেঁচে থাকল ইস্টবেঙ্গলের
আরও পড়ুন — দল উধাও, প্রতিপক্ষের কুর্নিশে মেহতাব-বিদায়
এই মুহূর্তে লিগ তালিকার যা অবস্থা, তাতে ১৮ ম্যাচ থেকে চেন্নাই-এর সংগ্রহ ৪০ পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের ঝুলিতে ৩৬ পয়েন্ট। চেন্নাই দুটো ম্যাচ ড্র করলে পয়েন্ট হবে ৪২। মেনেনদেজ ব্রিগেড টানা দুটো ম্যাচ জিতলে চেন্নাই-এর সমান পয়েন্ট হবে। কিন্তু মুখোমুখি সাক্ষাতে চেন্নাই দু-দু’বারই হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে দু’ ক্লাবের পয়েন্ট সমান হলে চেন্নাই-ই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে।
আই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড় প্রলম্বিত করতে হলে আজ চার্চিল ব্রাদার্সকে জিততে হবে চেন্নাই ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও তেমনটাই চাইছেন। মহাম্যাচের আগে চার্চিল সামান্য শক্তি খুইয়েই নামছে। রোয়িলসন রডরিগেজ, গোলকিপার ভাস্করণ, নালাপ্পন মোহনরাজ, রিচার্ড কোস্তাকে পাচ্ছে না গোয়ার ক্লাবটি। কিন্তু সব আলো শুষে নিচ্ছেন একা উইলিস প্লাজা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে উঠেছে উইলিস প্লাজার পায়ের দিকেই তাকিয়ে লাল-হলুদ সমর্থকরা। অনেকেই রসিকতা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলে খেলার সময়েও প্লাজার উপরে এতটা ভরসা কেউ করিনি।’’ পরিস্থিতি এখন বদলে গিয়েছে। ক্লাব পরিবর্তন করে চার্চিল ব্রাদার্সের জার্সি পিঠে চাপানোর পরেই স্বপ্নের ফর্মে ত্রিনিদাদ-টোব্যাগোর স্ট্রাইকার। সেই তিনিই কি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন? সময় তার উত্তর দেবে। আইলিগ পৌঁছে গিয়েছে শেষ ল্যাপে। ইস্টবেঙ্গল এখন তাকিয়ে অন্য দলের দিকে। অথচ এমনটা তো হওয়ার কথাই ছিল না। নিজেদের ম্যাচগুলো জিততে পারলে আজ এই অবস্থা তৈরি হত না। সঞ্জিৎবাবু বলছেন, ‘‘ঘরের মাঠে চার্চিল ব্রাদার্স ও আইজল ম্যাচ দুটো ড্র না হলে আজ পরিস্থিতি অন্য রকম হতেই পারত।’’
আপাতত ইস্টবেঙ্গলের জিয়নকাঠি চার্চিল ব্রাদার্স-এর কাছেই।