প্রস্তুতি: শনিবার শিলংয়ে অনুশীলন ইস্টবেঙ্গলের। —নিজস্ব চিত্র।
পাহাড়ের পাশ দিয়ে হাওয়া বইছে নাগাড়ে। যা কাঁপুনি ধরানোর পক্ষে যথেষ্ট। বিকেলের পর ঠান্ডা বাড়ছে।
আল আমনা, ডুডু ওমাগবেমি, ইউসা কাতসুমিদের গড় বয়স তিরিশের বেশি। পাহাড়ি উচ্চতায় যা সমস্যা তৈরি করতে পারে।
প্রতিপক্ষ শিলং লাজং সুপার কাপে সরাসরি খেলার জন্য লিগ টেবলে ছয়ের মধ্যে থাকতে মরিয়া। সে জন্য দু’জন বিদেশি বদলেছে তারা।
আই লিগের সব ম্যাচ খেলা ব্রাজিলিয়ান স্টপার এদুয়ার্দো ফেরিরা কার্ডের জন্য প্রথমবার এই ম্যাচে নেই। বহুদিন না খেলা দুই স্টপার অর্ণব মণ্ডল এবং গুরবিন্দর সিংহ খেলবেন শুরু থেকেই।
শিলংয়ের ইস্টবেঙ্গল টিম হোটলের মশালধারীরা এসব সমস্যাকে পাত্তা দিতেই নারাজ। বরং গোলকিপার উবেইদের জন্মদিন পালন হল হইহই করে কেক কেটে। রাতে লাল-হলুদের হৃৎপিণ্ড আল আমনা বলে দিলেন, ‘‘লিগ এখন আমাদের হাতে। দুটো ম্যাচ জিতলেই খেতাব জিতব। কিন্তু দু’টি ম্যাচ নয়, শিলং লাজং ম্যাচ আমাদের কাছে মরণ বাঁচন ম্যাচ। নেরোকা ম্যাচ নিয়ে এখন ভাবছিই না। শিলংকে হারাতে না পারলে সব শেষ হয়ে যাবে। এটা সেমিফাইনাল ম্যাচ। জিতলে তো ফাইনালে যাব।’’ বলার পর সিরিয়ান মিডিও থামেন। পরে বলেন, ‘‘আমরা সবাই জানতাম মিনার্ভা পয়েন্ট নষ্ট করবেই। আমাদের সেই সুযোগ নিতে হবে। এখন সবাইকে এই ম্যাচের গুরুত্ব বোঝাচ্ছি।’’
শনিবার মূল স্টেডিয়ামে যখন খালিদ জামিলের টিম অনুশীলনে নামল তখন পাহাড়ে অন্ধকার নামছে। কৃত্তিম মাঠের ফ্লাড লাইটে ঘণ্টা দেড়েকের অনুশীলন হল। রক্ষণ সংগঠনের উপর জোর দিলেন লাল-হলুদ কোচ। সঙ্গে কর্নার, ফ্রিকিকের প্রস্তুতি। আর তখনই হাওয়া বইতে শুরু করল। অনুশীলন থেকে ফিরে অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডলের গলায় তাই উৎকন্ঠা। বললেন, ‘‘এই হাওয়ার বিপক্ষে খেলাটা কঠিন। বল মারলে অন্যদিকে ঘুরে যায়। তবে এসব ভেবে লাভ নেই এখন। নিজেরা দুটো ম্যাচ জিতলে অন্য কারও দিকে তাকাতে হবে না।’’