ইস্টবেঙ্গল এ বার পারবে না: ডাফি

মরসুমের প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচে ডু ডংয়ের হ্যাটট্রিকে নিজেদের অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল ৩-১ জিতলেও, ঘরের মাঠে রহিম নবির পিয়ারলেসের কাছে মোহনবাগান হারল ০-২।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৬ ০৪:২১
Share:

বাগান প্র্যাকটিসে ড্যারেল ডাফির প্রথম দিন। মঙ্গলবার। ছবি: উৎপল সরকার

মরসুমের প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচে ডু ডংয়ের হ্যাটট্রিকে নিজেদের অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল ৩-১ জিতলেও, ঘরের মাঠে রহিম নবির পিয়ারলেসের কাছে মোহনবাগান হারল ০-২। বাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী ম্যাচ শেষে বলছিলেন, ‘‘আরও উন্নতি করতে হবে।’’ লাল-হলুদ কোচ ট্রেভর মর্গ্যানের যা শুনে রসিকতা, ‘‘প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচে জেতায় ভাববেন না সপ্তম কলকাতা লিগও জিতে গেলাম।’’

Advertisement

প্র্যাকটিস ম্যাচ বাদ দিলে এ দিন বাগানের প্রধান আকর্ষণ যদি হয় সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে নবাগত স্কটিশ স্ট্রাইকার ড্যারেল ডাফির গরমাগরম মন্তব্য, ইস্টবেঙ্গলে তা হলে সেটা জেলায় জেলায় তাদের ‘পে অ্যান্ড প্লে’ ফুটবল স্কুল তৈরি ।

এ দিন প্র্যাকটিসের পর ইস্টবেঙ্গল প্রসঙ্গে ডাফির মন্তব্য, ‘‘জানি ওদের টানা ছ’ বার কলকাতা লিগ জেতার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু এ বার আর পারবে না।’’ লাল-হলুদ স্টপার ক্যালাম অ্যাঙ্গাস সম্পর্কে তাঁর চিমটি, ‘‘ভাল বন্ধু হলেও ওকে টপকেই গোল করব ডার্বিতে।’’

Advertisement

ইস্টবেঙ্গল কোচ মর্গ্যান আবার ম্যাচ শেষে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছিলেন অ্যাকাডেমির ছাত্রদের। ‘‘দারুণ লড়াই করেছে জুনিয়ররা। আগামী দিনে নতুন মুখ খোঁজার চিন্তা কমল।’’ লাল-হলুদের সাহেব কোচ শুনলে খুশি হবেন, ব্রাজিল, জার্মানি, স্পেনের মডেলে এ বার শুধু অ্যাকাডেমি নয়, তার বাইরে থেকেও ফুটবল প্রতিভা তুলে আনতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। যার নেতৃত্বে যুব দলের কোচ রঞ্জন চৌধুরী।

কী সেই মডেল? লাল-হলুদ অ্যাকাডেমির কোচ বলছেন,‘‘গোটা দেশের প্রতিভা খুঁজে অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই টিমে যারা সুযোগ পেল না এ বার লক্ষ্য তারা।’’ ‘পে অ্যান্ড প্লে’ নামে সেই প্যাকেজে অনূর্ধ্ব-৬ থেকে ১৫ দের জন্য জেলায় জেলায় ফুটবল শেখানোর স্কুল খুলতে চলেছে ক্লাব। যেখানে ক্লাবের সিনিয়র ও অ্যাকাডেমির কোচ ও লাল-হলুদের প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলাররাও থাকবেন। স্কুলের কোনও শিক্ষার্থী নজর কাড়লে তার অ্যাকাডেমির টিমে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনাও থাকবে।

চার বছর পর ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ। তার জন্য ইস্টবেঙ্গলের পরিকল্পনা— বাংলার ফুটবলে আরও বেশি করে ভূমিপুত্রদের শামিল করা। এ বার তা পূর্ণ রূপ দেওয়ার পালা। অ্যাকাডেমির চিফ কোচ বলছেন, ‘‘জেলার গোটা দশেক ক্লাব সাড়া দিয়েছে। আমরা সেখানে পরিকাঠামোর এ টু জেড খতিয়ে দেখে এগোব। সব কিছু ঠিকঠাক চললে এ বছরের শেষেই এই ফুটবল স্কুল পথ চলা শুরু করবে।’’

ধারাভাষ্যে হয়তো অলোক-অতনু: আইএসএলের কমেন্ট্রি বক্সে চমক। এক্সপার্ট প্যানেলে শোনা যেতে পারে ভারতের পাঁচ প্রাক্তন ফুটবলারের গলা। তালিকায় রয়েছেন অতনু ভট্টাচার্য, অলোক মুখোপাধ্যায়, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, কার্তিক শেঠ ও বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। মুম্বইয়ের ওয়ার্কশপে সম্প্রতি নিয়েও যাওয়া হয় পাঁচ জনকে। অতনু বলছেন, ‘‘আইএসএলের এক্সপার্ট প্যানেলে আমরা ধারাভাষ্য দিতে পারি। তবে চূড়ান্ত কিছু হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন