ফুটবলের সুপার স্যাটারডের এক দিকে এল ক্লাসিকোর লড়াই হলে অন্য দিকে ইপিএলে চেলসি বনাম ম্যাঞ্চেস্টার সিটির যুদ্ধ।
পেপ গুয়ার্দিওলার সিটি জিতলে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে চলে যাবে। চেলসি আবার সিটিকে হারালে চার পয়েন্টের ব্যবধান বাড়িয়ে আরও জমিয়ে বসবে ইপিএলের এক নম্বরের আসনে। তবে সিটির সমস্যা হল সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ক্যাপ্টেন ভিনসেন্ট কোম্পানিকে এই ম্যাচেও না পাওয়া। অবশ্য মিডফিল্ডার ফাবিয়ান ডেলফ চোট কাটিয়ে প্র্যাকটিসে ফিরেছেন। তাঁকে নামাতে পারেন পেপ। প্রথম দলে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে কেভিন ডি ব্রায়ান, জন স্টোনস, দাভিদ সিলভারও।
তবে প্রিমিয়ার লিগে টানা সাতটা ম্যাচ জেতায় চেলসি যে আলাদা আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে সেটা নিশ্চিত। দুরন্ত ফর্মে আছে দলের তিন ফরোয়ার্ড দিয়েগো কোস্তা, এডেন হ্যাজার্ড আর পেদ্রো। কন্তের চেলসির এই ফরোয়ার্ড লাইনকে রুখে দেওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ শনিবার। সঙ্গে উইং ব্যাকে মোজেস আর মার্কোস আলোনসোকেও কিন্তু চেলসির নতুন ফর্মেশনের নেপথ্য নায়ক বলা হচ্ছে। প্রাক্তন বার্সেলোনা কোচের একটা সুবিধেও আছে। সেটা হল একই দল এই ম্যাচেও ধরে রাখতে চাইবেন কন্তে, অনেক বিশেষজ্ঞই যেটা আগাম বলছেন। তাঁর পাল্টা ট্যাকটিক্স গুর্য়াদিওলারও তৈরি থাকবে।
গুয়ার্দিওলা বিপক্ষকে যে যথেষ্ট সমীহ করছেন সেটা তাঁর কথাতেই বোঝা যাচ্ছে। বলছেন, ‘‘ওঁর পরিসংখ্যান, অঙ্ক, যে ভাবে টিমকে খেলান, খুব ভাল। ম্যানেজার হিসেবে এই প্রথম আমরা মুখোমুখি হব। তা ছাড়া ওরা সাতটা ম্যাচ টানা জিতেছে। গোল খেয়েছে একটা। তাই আমাদের জন্য একটা কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।’’
আন্তোনিও কন্তে আবার বলছেন, ‘‘কঠিন ম্যাচ। আমাদের ফর্মেশনের জন্য দারুণ একটা টেস্ট (৩-৪-৩, গত ছ’টা ম্যাচে যেটা ধরে রেখেছেন)। তবে আমরাও দেখিয়ে দিতে চাই মরসুমের শুরুটা আমরা যে ভাবে করেছিলাম, তার চেয়ে আরও উন্নতি করেছি।’’
গুয়ার্দিওলার টিমের জন্য অবশ্য একটা সুবিধে আছে। ঘরের মাঠের অ্যাডভান্টেজ। পরিসংখ্যান অবশ্য বলছে সিটির শেষ তিনটে হোমম্যাচে ফল ড্র। তাই সিটি সমর্থকরা অনেকে আগেভাগেই আরও একটা ড্র হতে যাচ্ছে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করে রাখছেন। চেলসি বস যেটা হয়তো রুখতে মরিয়া হয়ে থাকবেন। কেন না, জিতলে টানা আটটা ম্যাচ জেতার রেকর্ড করবে চেলসি। ছ’বছর যেটা আসেনি।
আজ টিভিতে ইপিএল
ম্যাঞ্চেস্টার সিটি বনাম চেলসি
এতেহাদ স্টেডিয়াম, সন্ধে ৫-৫০
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি