বাইসাইকেল কিক
Shyam Thapa

দ্য ব্রুইন না খেললে কিন্তু এগিয়ে রাখব ইটালিকেই

গত বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলেও ইটালি গত তিন বছরে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে অপর কোচ রবের্তো মানচিনির প্রশিক্ষণে। যারা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত।

Advertisement

শ্যাম থাপা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২১ ০৬:২৯
Share:

রোমেলু লুকাকু এবং চিরো ইমমোবিলে

ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে শুক্রবার রাতে মহারণ মিউনিখের মাঠে! বেলজিয়াম বনাম ইটালি, প্রতিযোগিতার দুই সেরা দলের ফুটবল দ্বৈরথ দেখার জন্য আমি প্রহর গুনছি এখন থেকেই।

Advertisement

ইউরোর এই মহারণে অবশ্যই নজর থাকবে দুই রবের্তোর দিকে। প্রথম জন, বেলজিয়াম কোচ রবের্তো মার্তিনেস গত তিন বছরে দলটার এত উন্নতি করেছেন যে, এডেন অ্যাজ়ারদের দেশ ফিফা ক্রমপর্যায়ে বিশ্বের এক নম্বর দল। চলতি বছরে একটা ম্যাচও হারেনি। শেষ ১৪ ম্যাচে অপরাজিত।

অন্য দিকে, গত বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলেও ইটালি গত তিন বছরে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে অপর কোচ রবের্তো মানচিনির প্রশিক্ষণে। যারা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত।

Advertisement

ইউরোপের এই দুই ফুটবল-গুরুর মগজাস্ত্রের দ্বৈরথে তাই শুক্রবার রাতে অনেক নতুন চাল যে দেখা যাবে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কারণ, দুই কোচের হাতেই রয়েছে দুর্দান্ত আক্রমণ ভাগ। মার্তিনেসের অস্ত্র যদি হয় রোমেলু লুকাকু, থোর্গান অ্যাজ়াররা, তা হলে রবের্তো মানচিনির শক্তিশেল চিরো ইমমোবিলে, লোরেনজ়ো ইনসিনিয়েরা। তাই লুকাকু বনাম ইমমোবিলের গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপানোটাও এই ম্যাচের অন্যতম একটা আকর্ষণ। নিজে আক্রমণ ভাগের ফুটবলার ছিলাম বলেই আমি সব সময়েই আগ্রাসী গোলদাতাদের পছন্দ করি। বেলজিয়াম ও ইটালির এই দুই ফুটবলারই যন্ত্রের মতো গোল করে যায়। লুকাকু কতটা ভয়ঙ্কর, তা জানে ইটালি গোলকিপার জানলুইজি ডোনারুম্মা। ও খেলে সেরি আ-র দল এসি মিলানে। ওই শহরেরই আর এক দল ইন্টার মিলানে খেলে লুকাকু। দেশের হয়ে ৯৭ ম্যাচে ৬৩ গোল করা লুকাকু এ পর্যন্ত চারটি মিলান ডার্বিতেই ও ডোনারুম্মাকে পরাস্ত করে গোল করে গিয়েছে। শুক্রবার জার্মানির মাঠে কে কাকে টেক্কা দেয়, সেটা দেখতে মুখিয়ে রয়েছি।

ঠিক সে ভাবেই ইটালির হয়ে ম্যাচের পর ম্যাচ গোল করে চিরো ইমমোবিলে। ছেলেটা মাঠের মধ্যে তিনকাঠি দারুণ চেনে। কখন যে গোল করে যাবে, তা আগাম বোঝা কঠিন।

যদিও এই বড় ম্যাচের আগে বেলজিয়াম শিবিরই কিছুটা অস্বস্তিতে। কারণটা অবশ্যই চোট-আঘাত। দলের দুই প্রধান অস্ত্র অধিনায়ক এডেন অ্যাজ়ার ও কেভিন দ্য ব্রুইনের চোট। দু’জনেই চোট পেয়েছে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিরুদ্ধে। দু’জনেই দলের চূড়ান্ত অনুশীলনে বৃহস্পতিবার নামেনি। অ্যাজ়ারের চোট হ্যামস্ট্রিংয়ে। ব্রুইনের চোট গোড়ালির লিগামেন্টে। ইটালিকে হারালে ১৯৮০ সালের পরে সেমিফাইনালে যাবে বেলজিয়াম। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার অ্যাজ়ার এ দিন নাকি ফিজিয়োথেরাপিস্টদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছে। যা শোনার পরে আমার মনে হচ্ছে, ইটালির বিরুদ্ধে পরের দিকে ওকে এনে কোনও চমক দিতে পারেন মার্তিনেস। প্রশ্ন হচ্ছে, কেভিন দ্য ব্রুইন না খেলতে পারলে, সে ক্ষেত্রে কে এই দলটাকে খেলাবে? নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় প্রশ্ন। আমার মতে, ব্রুইনের বিকল্প হতে পারে দ্রিস মার্টেন্স বা কারাস্কোর মধ্যে কেউ একজন। দু’জনেই বল ধরে খেলতে পারে। এই দলটা গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিল। ফলে বড় মঞ্চে ট্রফি জেতার তাগিদ তীব্র হলে কিন্তু ইটালির মুশকিল হতে পারে। তবে ব্রুইন না খেললে মানসিক ভাবে এগিয়ে থাকবে ইটালিই। আমার মতে, ইউরোপের এই অন্যতম সেরা এই দুই দলের দ্বৈরথটা হবে মাঝমাঠে। ইউরি টেনিমান্স-থোমাস মিউনিয়ের-উইটসেল-থোর্গান অ্যাজ়ার বনাম জর্জিনো-লোকাতেল্লি-বারেল্লাদের সম্মুখসমর। মোদ্দা কথা, মাঝমাঠ যার ম্যাচ তার। কারণ, দুই কোচই বিপক্ষের গোল করার অস্ত্র ভোঁতা করতে নির্ভর করবেন মাঝমাঠর উপরেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন