টানা তিনটে হার। কল্পনা করতে পারছি কয়েকজন হয়তো বলতে শুরু করবেন হারের ধাক্কায় আমাদের এ বার আতঙ্কিত হওয়ার সময় এসেছে। তবে অবশ্যই তেমন কিছু ঘটবে না। মরসুমের গোড়াতেই আমি কিন্তু বলেছিলাম, এটা নতুন দল, আর সেরা কম্বিনেশনটা খুঁজে পেতে একটু সময় লাগবে। দলে নিয়মিত বদল করলে লাভ হবে না। অভি়জ্ঞ প্লেয়াররা জানে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে একটা ভাল ম্যাচ টিমের ভোল বদলে দিতে পারে।
একটা খারাপ দিন তো যে কোনও ক্রিকেটারের আসতে পারে। যেমন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ইশান্ত শর্মার গেল। সঙ্গে মন্দভাগ্যও আমাদের তাড়া করেছে। কেভিন পিটারসেনের এমন চোট লাগল যে গোটা মরসুমই মাঠের বাইরে ছিটকে গেল। সঙ্গে পা ফস্কে স্টিভ স্মিথের রান আউট আর ফাফ দু’প্লেসির দ্রুত ফিরে যাওয়া আমাদের টপ অর্ডারকে স্কোরবোর্ডে খুব একটা অবদান রাখতে দেয়নি। তাই লোয়ার অর্ডারে আরও চাপ বেড়ে গিয়েছিল।
বরং এটা আমাদের কৃতিত্বই বলব যে, শেষ দিকে থিসারা পেরিরার গোলাগুলিতে প্রায় রানটা তাড়া করে ধরে ফেলেছিলাম আমরা, যা অনেকেই একটা সময় ভেবেছিল আমাদের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। তাও মাথায় রাখতে হবে বিরাট কোহালি আর এবি ডে’ভিলিয়ার্স কিন্তু মাঝের ওভারগুলোয় দাপিয়ে বেড়িয়েছে। এই দু’জনকে রোখা সব সময়ই কঠিন। ওরা এত ভাল খেলছিল যে টিমের গোটা রানটাই প্রায় দু’জনে করল। টি-টোয়েন্টি কিন্তু এ রকমই, দু’তিন জনের পারফরম্যান্সই ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে।
তা ছাড়া এটা তো প্রথম নয় যে আইপিএলে কোনও দল একটু স্লো শুরু করল। এমনও দেখা গিয়েছে সেই টিমটাই শেষ দিকে গতি তুলে সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছে। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, এমনকী কলকাতা নাইট রাইডার্সও। যারা আমাদের রবিবারের প্রতিপক্ষ। তাই আমাদের দক্ষতার উপর সন্দেহ করার বা টুর্নামেন্টটা আমাদের জন্য খারাপ যাবে এমন ধরে নেওয়ার কোনও কারণ দেখছি না।
আগেই বলেছি, কেপির ছিটকে যাওয়াটা আমাদের কাছে বড় ধাক্কা অবশ্যই, তবে ওর জায়গায় উপযুক্ত পরিবর্তও আমাদের হাতে রয়েছে। যখন এমএস ধোনি বলল কেপির চোট আমাদের জন্য শাপে বর হয়েছে, ও আসলে ব্যাপারটা ইতিবাচক ভাবে দেখার কথাই বলতে চেয়েছে। ধোনিকে চিনি বলেই বলছি, ও আসলে বলতে চেয়েছে এ বার আমরা অ্যালবি মর্কেল বা মিচেল মার্শকে খেলানোর কথা ভাবতে পারব।