Sports News

বিশ্বকাপের শহরে ভবিষ্যতের স্বপ্নে ভাস্কর, তনুময়রা

কলকাতা প্রেস ক্লাবে হাজির হয়েছিলেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, অমলরাজ, মহম্মদ ফরিদ ও তনুময় বসু। যাদের কাছে রয়েছে অভিজ্ঞতার ঝুলি সে ভারতীয় ফুটবল হোক বিশ্ব ফুটবল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ১৭:০৬
Share:

বাঁ দিক থেকে ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, অমলরাজ, মহম্মদ ফরিদ ও তনুময় বসু। —নিজস্ব চিত্র।

সেমিফাইনালের সকালে কলকাতায় বসে ফুটবলের নতুন স্বপ্ন দেখিয়ে গেলেন সুদূর দোহা থেকে আসা আমিনুল ইসলাম। লক্ষ্য বাংলার প্রতিভাদের বেছে বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে নিয়ে গিয়ে ভারও ভাল মতো তৈরি করা। বুধবার সেই লক্ষ্যেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে হাজির হয়েছিলেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, অমলরাজ, মহম্মদ ফরিদ ও তনুময় বসু। যাদের কাছে রয়েছে অভিজ্ঞতার ঝুলি সে ভারতীয় ফুটবল হোক বিশ্ব ফুটবল। যেখানে এই পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গে উঠে এল অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ থেকে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যতের কথা।

Advertisement

আরও পড়ুন

ব্রাজিলের জন্য গলা ফাটাতে তৈরি কলকাতা

Advertisement

প্রাক্তন জাতীয় গোলকিপার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য একহাত নিলেন ফেডারেশনকেই। যাদের পরিকল্পনা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। বিশেষ করে বিদেশি কোচ নিয়ে। অন্যদিকে আর এক প্রাক্তন গোলকিপার তনুময় বসু একমত হলেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তার মতে, ফেডারেশন শুরু করেছে, আরও সময় দিতে হবে। রাতারাতি সব বদলে যাওয়া সম্ভব নয়। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘চিন ২০ বছর ধরে গ্রাসরুট প্রোগ্রাম চালানোর পরই একটা উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতও পারবে।’’ ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের পাল্টা, ‘‘আমরা বিদেশি দলের সঙ্গে শেষ বেলায় গিয়ে প্রচুর লড়াই করে চার গোল হজম করেও আনন্দ পাই। আমাদের সময়ও হয়েছিল এখনও একই আছে। কোনও পরিবর্তন হয়নি।’’

আরও পড়ুন

সেমিফাইনালের আগে কলকাতায় প্রবল বৃষ্টি

যখন দু’জন গোলকিপার এক মঞ্চে তখন বাঙালি গোলকিপারের হাহাকারের কথা তো আসবেই। মেনে নিলেন তনুময় বসু। তাঁর মতে, ‘‘শারীরিক উচ্চতার কারণেই পিছিয়ে পড়ছে বাংলার গোলকিপাররা। শুভাশিস, অরিন্দমের পর ওই উচ্চতার কোনও গোলকিপার আসেনি। যে কারণেই গুরপ্রিত খেলছে।’’ অন্যদিকে এই উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে হায়দরাবাদ থেকে উড়ে এসেছেন অমলরাজ। যিনি হায়দরাবাদের হলেও কলকাতাকেই নিজের প্রথম বাড়ি বলেন। তাঁরও মত, ‘‘ফুটবলকে আরও ছড়িয়ে দিতে হবে। আমার বিশ্বাস এই বিশ্বকাপ থেকে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিই হবে।’’ মহম্মদ ফরিদ হায়দরাবাদের হলেও কলকাতায়ই থেকে গিয়েছেন। আর এখানে থেকে সবার অলক্ষ্যে চালিয়ে যান ফুটবল ক্যাম্প। যেখানে অনাথরাই সুযোগ পায় ফুটবল শেখার। ফুটবলের কলকাতা, বিশ্বকাপের কলকাতা বুধবার অল্প সময়ের জন্য হলেও ভবিষ্যত পরিকল্পনারও হয়ে উঠল। যেখানে রিয়াদার তরফে আমিনুল ইসলাম জানালেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে ঘুরে তুলে আনা হবে প্রতিভা। সেখান থেকে বাছাই করে তাদের কাউকে কাউকে পাঠানো হবে স্পেনের অ্যাকাডেমিতে। আপাতত এটাই লক্ষ্যে।’’ এই কাজ দোহায় ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন তিনি। ইউরোপেও করার পরিকল্পনা চলছে। তার আগে অবশ্যই কলকাতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন