দুর্ঘটনার ঠিক আগে সুজুকায় বিয়াঞ্চির গাড়ি। ছবি: রয়টার্স।
প্রায় এক বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন ফরাসি ফর্মুলা ওয়ান চালক জুলস বিয়াঞ্চি। গত বছর অক্টোবরে জাপানিজ গ্রাঁ প্রিঁ-তে মারাত্মক দুর্ঘটনায় মাথায় চোট পান তিনি। এর পর থেকেই কোমায় ছিলেন বছর পঁচিশের এই চালক। শনিবার সকালে বিয়াঞ্চির অফিশিয়াল টুইটারে তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয় পরিবারের তরফে।
ম্যানরের চালক বিয়াঞ্চিকে ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়ন বলেছিলেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ২০১৩-’১৪ মরসুমে ৩৪টি রেসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিয়াঞ্চি। গত বছর মোনাকো গ্রাঁ প্রিঁ-তে নবম হয়ে ম্যানরকে প্রথম চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট এনে দিয়েছিলেন তিনি। তখন অবশ্য ম্যানরের নাম ছিল মারুসিয়া। চালকের মৃত্যুতে ম্যানরের তরফে জানানো হয়েছে, বিয়াঞ্চির মৃত্যুতে আমরা বিধ্বস্ত। কঠিন যুদ্ধের শেষে মৃত্যুর কাছে পরাস্ত হলেন বিয়াঞ্চি। তাঁকে দলে পেয়ে আমরা গর্ববোধ করতাম।”
গত বছর ৫ অক্টোবর সুজুকায় রেসের একেবারে শেষে বৃষ্টি এবং খারাপ আবহাওয়ায় দুর্ঘটনায় পড়ে ফরাসি এই তরুণ চালকের গাড়ি। ট্র্যাক থেকে ছিটকে গিয়ে উদ্ধারকারী ক্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিয়াঞ্চির গাড়ির। আগের ল্যাপে দুর্ঘটনায় পড়া স্যবারের জার্মান চালক আদ্রিয়ান সুটিলের গাড়িটি ট্র্যাক থেকে সরাচ্ছিল ওই ক্রেনটি। জাপানের একটি হাসপাতালে কিছু দিন থেকে তাঁকে ফ্রান্সে নিয়ে যান তাঁর পরিবার। তবে দুর্ঘটনার পর থেকে কোমায় চলে যাওয়া বিয়াঞ্চির কখনওই জ্ঞান ফেরেনি।
বিয়াঞ্চির মৃত্যুর পর রেসের নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। নিয়মমতো, একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে পরের গাড়িগুলিকে সতর্ক করতে হলুদ পতাকা নাড়নোর কথা। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। তদন্তে জানা যায়, প্রচণ্ড গতিতে থাকা গাড়িতে একই সঙ্গে ব্রেক এবং থ্রোটলে চাপ দেওয়ায় নিয়ন্ত্রন হারান বিয়াঞ্চি।
তবে ফর্মুলা ওয়ানের ট্র্যাকে এই ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা নতুন নয়। ১৯৯৪ সালে এমনই এক দুর্ঘটনায় মারা যান তি বারের চ্যাম্পিয়ন চালক ব্রাজিলের আয়ার্টন সেনা। ট্র্যাকে মৃত্যু প্রথম নয় ফ্রান্স তথা বিয়াঞ্চির পরিবারের কাছেও। ১৯৬৯ সালে টেস্ট ড্রাইভের সময়ে মারা যান বিয়াঞ্চির কাকা।