পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন বিশ্বজয়ী এক প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক। মাত্র দুই দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ারে ইমরানের এই উত্তরণ বেশ চমকপ্রদ। কিন্তু ইমরান খানই প্রথম নন, তাঁর মতো একাধিক সফল রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যাঁরা এককালে কেউ বক্সার, কেউ ফুটবলার, কেউ বা অন্য কোনও খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
জর্জ উইয়া: আফ্রিকার ফুটবলার। ২০০৩ সালে খেলা থেকে অবসর নেন তিনি। তার পর থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে পদার্পণ। বর্তমানে তিনি পশ্চিম আফ্রিকার লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর: প্রফেশনাল শুটার ছিলেন। ২০০৪ সালে অলিম্পিক শুটিংয়ে রুপো জেতেন। কমনওয়েলথ এবং এশিয়ান গেমস-এও পদক জিতেছেন। ২০১৩ সালে ক্রীড়া জগৎ থেকে অবসর নেন। আর ২০১৪ সালে বিজেপির সাংসদ নির্বাচিত হন। বর্তমানে রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
আর্নল্ড শোয়ার্ৎজেনেগার: হলিউড একাধিক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু জানেন কি আর্নল্ড একজন ক্রীড়াবিদও? অভিনয় জগতে আসার আগে একজন বডি বিল্ডার হিসাবে পরিচিত ছিলেন আর্নল্ড। ২০০৩ সালে আর্নল্ড ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নির্বাচিত হন। ২০০৭-১১ সাল পর্যন্ত ফের তিনি গর্ভনর হিসাবে নির্বাচিত হন।
রোমারিও: ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম কারিগর ছিলেন রোমারিও। ব্রাজিল ফুটবলে পেলে এবং রোনাল্ডোর পরই রোমারিও-র নাম নেওয়া হত এতদিন। বর্তমানে তিনি ব্রাজিলের সেনেটর। রিও ডি জেনেইরোর গর্ভনরের জন্য নির্বাচনে লড়তে চলেছেন।
নভজ্যোৎ সিংহ সিধু: রাজনীতি এবং টেলিভিশনের দৌলতে সিধুর ক্রিকেটিং কেরিয়ার এখন অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। জাতীয় দলের অন্যতম ওপেনার ছিলেন তিনি। সিধু ২০০৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৭ সালে দলবদল করে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। বর্তমানে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের মন্ত্রিসভার সদস্য।
অর্জুন রণতুঙ্গা: শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক রণতুঙ্গা খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে হাত পাকান। বর্তমানে তিনি শ্রীলঙ্কার পর্যটন দফতরের মন্ত্রী।
সনত্ জয়সূর্য: দেশবন্ধু সনত্ তেরান জয়সূর্য। ক্রিকেট বিশ্ব অবশ্য তাঁকে চেনে সনত্ জয়সূর্য নামেই। রাজনীতিতেও তিনি নিজের অধিনায়ককেই অনুসরণ করতে শুরু করেন। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার মাতারা কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে অবশ্য ফের ক্রীড়া জগতে ফেরেন। ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে খেলেন।
ম্যানি প্যাকিয়াও: দোর্দণ্ডপ্রতাপ বক্সার ছিলেন। রিংয়ে ধরাশায়ী করতেন প্রতিপক্ষকে। জন্মস্থান ফিলিপিন্সের প্রতি ভালবাসা থেকেই ম্যানির রাজনীতিতে আসা। ২০১০ সালে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য হন। ২০১৩ সালে পুনর্নির্বাচিত হন।
জিম রায়ান: ট্র্যাকে চিতার মতো দৌড়তেন তিনি। ৮৮০ মিটার হার্ডলসে বিশ্বরেকর্ড রয়েছে তাঁর। ১৯৬৮ সালে অলিম্পিকে ১৫০০ মিটার দৌড়ে রুপো জেতেন। খেলার মতো রাজনৈতিক জীবনের রেসেও তিনি হারতে শেখেননি। ১৯৯৬ সালে রিপাপলিকান প্রার্থী হিসাবে আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য হন।
ইমরান খান: পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। ১৯৯৬ সালে তিনি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নামে নিজের একটি দল গঠন করেন। পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল ১১০ আসনে জয়ী হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি।