ইডেনের উইকেটে আবারও দেখা গেল পেসারদের দুরন্ত বোলিং। সেমিফাইনালের আগে মনে করা হচ্ছিল, লড়াইটা হবে বিনয় কুমার বনাম উমেশ যাদবের। লড়াইটা পেসারদের থাকলেও প্রথম দিনের শেষে বদলে গেলেন দুই নায়ক। লড়াইটা হল কর্নাটকের অভিমন্যু মিঠুন বনাম বিদর্ভের রজনীশ গুরুবাণীর মধ্যে।
অভিমন্যু মিঠুনের পাঁচ উইকেটের ধাক্কায় দিনের শেষে বিদর্ভের ব্যাটিং ভরাডুবি ঘটেছে। তবে বিদর্ভের পেসাররাও কর্নাটকের তিন উইকেট ফেলে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছেন।
রঞ্জি ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম দিনেই ১৩টি উইকেট পড়ল। ইডেনের পিচে বাউন্স তো ছিলই। তার ওপর সারা দিন ধরে চলা হাওয়ায় বল সুইং করেছে। দু’দলের পেসাররা মিলে নিয়েছেন ১২টি উইকেট। ১৮৫ রানেই প্রথম ইনিংস শেষ বিদর্ভের। কর্নাটকের তিন উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান। ব্যক্তিগত ১৫ রানে উমেশ যাদবের বলে আউট হলেন ময়ঙ্ক অগ্রবাল। অপরাজিত করুণ নায়ার ও সি এম গৌতম। উমেশ যাদব পেলেন একটি ও রজনীশের প্রাপ্তি দু’টি উইকেট। ‘টিএসকে ২৫কে’ দৌড় চলার কারণে যানজটে আটকে গিয়ে মাঠে দেরিতে পৌঁছয় বিদর্ভ। তাই নির্ধারিত সময় সকাল ন’টার বদলে সাড়ে ন’টায় শুরু হয় সেমিফাইনাল ম্যাচ। এই দিন লাঞ্চে বিদর্ভের রান ছিল ৯৫-২। পরের দু’ঘণ্টার মধ্যেই আট উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় তারা। কর্নাটকের চার পেসারের সম্মিলিত শক্তির সামনে টিকতে পারলেন না ওয়াসিম জাফররা।
সকালে বিনয় কুমারের সঙ্গে নতুন বলে শুরু করলেও প্রথম স্পেলে কোনও উইকেট পাননি মিঠুন। তাই দ্বিতীয় স্পেলে ইডেনের প্যাভিলিয়ন প্রান্তের বদলে হাই কোর্ট প্রান্ত থেকে বল করা শুরু করতেই সাফল্য আসে। দিনের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে মিঠুন বলেন, ‘‘ইডেনের পিচ পেসারদের জন্য আদর্শ। প্রথম স্পেলে আমি উইকেট পাচ্ছিলাম না। তাই অধিনায়ককে বোলিং প্রান্ত বদলের অনুরোধ করেছিলাম। উল্টো দিক থেকে দ্বিতীয় স্পেলেই উইকেট পাই।’’
শুধু পাঁচ উইকেটই নয়, তার সঙ্গে হ্যাটট্রিকের সুযোগও তৈরি করেছিলেন মিঠুন। তাঁর ১৪ নম্বর ওভারে পরপর দু’বলে ফিরে যান অক্ষয় ওয়াখড়ে ও রজনিশ গুরুবাণী। কিন্তু হ্যাটট্রিক হয়নি। ঠিক তার এক বল পরেই ওভারের তিন নম্বর উইকেট তুলে পাঁচ-উইকেটের মাইলস্টোনে পৌঁছন মিঠুন।
প্রথম দিন ইডেনের উইকেট পেস বোলারদের যথেষ্ট সাহায্য করেছে। এ বার দ্বিতীয় দিনে উমেশ যাদব ও রজনীশ কর্নাটকের ব্যটিংয়ে ধস নামাতে পারেন কি না, এটাই দেখার।