বিনা অনুশীলনেও কলকাতা বধের ভাবনা গোয়া শিবিরে।
বর্ষবরণের জের, নাকি স্ট্র্যাটেজি!
এটিকের শহরে কোনওরকম অনুশীলন না করেই বুধবার যুবভারতীতে খেলতে নামছে এফ সি গোয়া। মঙ্গলবার সকালে মারগাওতে অনুশীলন করে বিকেলে তারা এসে উঠবে রাজারহাটের টিম হোটেলে।
আই লিগ হোক থেকে সন্তোষ ট্রফি, ফুটবল মাঠে গোয়া বনাম বাংলার কোনও রাজ্য বা ক্লাবের লড়াই মানেই অন্য রকম উত্তেজনা। অন্য যুদ্ধ। এখন মঞ্চটা শুধু বদলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ হয়েছে। লড়াইটা কিন্তু রয়েই গিয়েছে।
গত তিন বছরে আইএসএলে কলকাতার মাঠে একবারও এটিকে-কে হারাতে পারেনি গোয়া। এ বার সেই সুযোগ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে সের্জিও লোবেরার টিম। লিগ টেবলে আপাতত বেশ ভাল জায়গায় আছে মান্দার রাও, প্রণয় হালদাররা। এই ম্যাচটা জিততে পারলে গোয়া লিগ টেবলের প্রথম চারে ঢুকে যাবে। আর এটিকে জিতলে জয়ের হ্যাটট্রিক করবে টেডি শেরিংহ্যামের দল। ফলে দুই টিমই সতর্ক।
গোয়ায় ফোন করে জানা গেল, স্প্যানিশ কোচের নির্দেশেই এমনভাবে বিমানের টিকিট কাটা হয়েছে যাতে এটিকের ঘরের মাঠে এসে অনুশীলন করতে না হয়। প্রথমে অনেকে বলেছিলেন গোয়ায় বর্ষবরণের জেরেই এটা হয়েছে। কিন্তু পরে শোনা যাচ্ছে, এটিকে কোচের চোখ এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুবভারতীর অনুশীলন মাঠের পাশের হোটেলেই থাকেন এটিকে কোচ টেডি। গোয়া সেখানে অনুশীলন করলে তাঁর সামনে রণনীতি ফাঁস হয়ে যেতে পারে ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নারায়ন দাশদের কোচ সের্জিও। মারগাও থেকে ফোনে গোয়ার এক কর্তা স্বীকার করলেন, ‘‘আমাদের কাছে এই ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। এ বার আমাদের জিততেই হবে। টিমও ভাল খেলছে। শুনেছি এটিকে কোচ টেডি নিজের ঘরে বসেই সব দলের অনুশীলন দেখতে পান। সেটা মাথায় রেখেই খেলতে যাচ্ছি আমরা।’’ প্রধান কোচ ও ফুটবলারদের কেউ তাই থাকছেন না দুপুরের সাংবাদিক সম্মেলনে। পাঠানো হচ্ছে সহকারি কোচ ডেরেক পেরিরাকে। যিনি পরিচিত মুখ ভারতীয় ফুটবলে।
গোয়া ছয় ম্যাচ খেলে জিতেছে চারটিতে। সেখানে এটিকে জিতেছে দুটি। দুটি ম্যাচ ড্র করেছেন রবি কিনরা। শেরিংহ্যাম এ দিন বলে দিয়েছেন, ‘‘এই ম্যাচটা জিতে জয়ের রাস্তায় থাকতে চাই। গোয়া কঠিন প্রতিপক্ষ। কিন্তু আমাদের গোল করতে হবে। জিততেও হবে। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলব আমরা।’’ দু’দিন ধরে অনুশীলন চললেও সোমবারই প্রথম মাঠে নামেন রবি কিন। রবিন সিংহও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে শেরিংহ্যাম জেতার ব্যাপারে আশাবাদী।