আগমন: কলকাতায় ফিফা প্রেসি়ডেন্ট ইনফান্তিনো। নিজস্ব চিত্র
ভারতের এখন যা ফুটবলের পরিকাঠামো তাতে লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের বিশ্বকাপও হতে পারে।
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ৫০টি ম্যাচ সংগঠন করার অভিজ্ঞতা থেকে এটাই মনে করছে ফিফা। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ফিফার টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর জেইনি ইয়ার্জা বলে দিলেন, ‘‘শুধু অনূর্ধ্ব ২০-র বিশ্বকাপ বা অন্য কোনও টুনার্মেন্ট তো হতেই পারে। যুবভারতী তো সেরা। ভারতের বেশ কয়েকটি মাঠের যা পরিকাঠামো দেখলাম, তাতে সিনিয়রদের বিশ্বকাপও হতে পারে এখানে।’’ কেন তাঁর এই উপলব্ধি? ফিফার টুনার্মেন্ট সংগঠনের প্রধানের মন্তব্য, ‘‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে শহর পরিবর্তন করে সেমিফাইনাল হয়েছে অন্য স্টেডিয়ামে। এর পরেও কোনও কোচ বা ফুটবলারের কোনও অভিযোগ নেই। অনুশীলন মাঠ থেকে হোটেল, সবাই খুশি। দর্শক সংখ্যাতেও শুধু অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপই নয়, অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: মশাই রাতের ঘুম কেড়েছে স্প্যানিশদের
সাজসজ্জা: শনিবার অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য সাজছে যুবভারতী। প্রধান গেট দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের মুখে রঙিন আলপনায় শেষ মুহূর্তের টান। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
আজ শুক্রবার শহরের এক পাঁচ তারা হোটেলে বসছে ফিফা কাউন্সিলের বৈঠক। সম্ভবত প্রথম বার জুরিখের বাইরে এই সভা হচ্ছে। সেখানে প্রথমবার সংগঠক দেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেবে ভারত। ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল এই মঞ্চটাই ব্যবহার করতে চান। বলে দিলেন, ‘‘আমরা ২০১৯-র অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ সংগঠন করার জন্য আবেদন জমা দিয়েছি। ফিফার মন্তব্যের পর আরও জোর পেলাম।’’ আজ অবশ্য ফিফা কাউন্সিলের বৈঠকে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হবে না বলেই খবর। তবে আলোচনায় রাখা হয়েছে বিষয়টি। এ দিন কোনও সিদ্ধান্ত না হলে ডিসেম্বরের শেষে অথবা সামনের বছরের জানুয়ারিতে ফিফার বৈঠকে তা চূড়ান্ত হবে। ৩০টি দেশ যুব বিশ্বকাপের জন্য বিড করছে বলে খবর পেয়েছেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, সাধারণত এক মহাদেশে পরপর দুটো বিশ্বকাপ সংগঠন করতে দেয় না ফিফা। তাও কেন চেষ্টা? প্রফুল্ল বললেন, ‘‘আমাদের দেশের ছয়টি স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। আরও ছয়টি স্টেডিয়াম তৈরি। চেষ্টা করতে দোষ কী?’’ তিনি বলে দেন, ‘‘আমরা ২০২০-২১ বিশ্ব ক্লাব কাপের জন্যও আবেদন করছি।’’ পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জন্য মাতোসের দল যে সাহায্য পেয়েছে সেটা এর পরের সব বয়সভিত্তিক টিমও পাবে। তবে জাতীয় যুব দলের কোচ মাতোস যে আই লিগেও দায়িত্বে থাকবেন তা নিশ্চিত করে বলতে চাননি প্রফুল্ল। ধোঁয়াশা রেখে বললেন, ‘‘সৌদি থেকে ফেরার পর মাতোসের সঙ্গে আমরা কথা বলব। ’’ এ দিন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর-র সঙ্গে বৈঠক করেন প্রফুল্ল। সেখানে ভারতে ফুটবলের উন্নতির জন্য একটি ‘সেন্টার ফর এক্সেলেন্স’ করার জন্য সাহায্যের কথা বলেন তিনি।