সৌজন্যে জার্মানি থেকে প্রকাশিত একটি বই। যার নাম দ্য ফুটবল লিকস: দ্য ডার্টি বিজনেস অব ফুটবল। এক সপ্তাহ আগেই যা বাজারে এসেছে। আর তার পরেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার পল পোগবা-র চুক্তিপত্র খতিয়ে দেখতে চাইল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফা।
গত মরসুমে রেকর্ড একশো মিলিয়ন ইউরো খরচ করে ইতালিয়ান ক্লাব য়ুভেন্তাস থেকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে এসেছিলেন ফরাসি এই মিডফিল্ডার। প্রশ্ন উঠছে তা হলে প্রায় এক বছর পরে কেন ফিফা পোগবার চুক্তিপত্র ফের খতিয়ে দেখতে চাইছে?
জানা গিয়েছে, পোগবার চুক্তিপত্র দেখে ফিফা নিশ্চিত হতে চায়, ইতালি এবং ইংল্যান্ডের এই দুই ক্লাবের মধ্যে ফরাসি এই ফুটবলার বিপণনে আর কারা জড়িয়েছিল এবং তাদের পকেটে কী পরিমাণ অর্থ ঢুকেছে।
ফুটবল লিকস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, য়ুভেন্তাস থেকে পোগবাকে ম্যান ইউ-তে নিয়ে যাওয়ার পিছনে রয়েছেন মোনাকোবাসী এক এজেন্ট। যার নাম মিনো রাইয়োলা। যেখান থেকে তিনি পকেটে ঢুকিয়েছেন ৪৯ মিলিয়ন মিলিয়ন ইউরো। আর সেটাও তিন পক্ষ থেকে অর্থ্যাৎ য়ুভেন্তাস, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এবং পোগবার পক্ষ থেকে। ফুটবল লিকস আরও জানিয়েছে, জুভেন্তাসের কাছ থেকে রাইয়োলার পকেটে ঢুকেছে ২৭ মিলিয়ন ইউরো, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড থেকে ১৯.৪ মিলিয়ন ইউরো এবং ফের ইংল্যান্ডের ক্লাবটি থেকে রাইয়োলার পকেটে ঢোকে আরও ২.৬ মিলিয়ন ইউরো আর সেটা পোগবার বেতন কত হবে তা বোঝাপড়া করে দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: আজ পঞ্জাব হারলে লাভ কলকাতার
নিয়ম অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে ফুটবল বিপণনে একজন এজেন্ট সংশ্লিষ্ট দু’পক্ষের হয়ে কাজ করতে পারেন। কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে তিন জনের মধ্যে। তাও সেটা তিন পক্ষ ঐক্যমত্যের পরেই। কিন্তু এক্ষেত্রে পোগবার এজেন্ট থাকা সত্ত্বেও য়ুভেন্তাসের হয়ে ফরাসি এই ফুটবলারের দাম বাড়ানোর জন্য কাজ করেছিলেন রাওয়োলা। একই সময়ে পোগবাকে ম্যান ইউ-তে এনে দেওয়া এবং বেতন ঠিক করার জন্যও সেখান থেকে অর্থ পেয়েছিলেন।
গোটা ঘটনা সামনে আসার পর মুখে কুলুপ এঁটেছে রাইয়োলা এবং য়ুভেন্তাস। ম্যান ইউ-এর তরফে তড়ঘড়ি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘ব্যক্তিগত কারও চুক্তি নিয়ে মুখ খুলবে না ক্লাব। পোগবার চুক্তি সংক্রান্ত সব কাগজই গত অগস্টে ফিফাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
জানা গিয়েছে, অসঙ্গতি পাওয়া গেলে বিষয়টি নিয়ে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির দ্বারস্থ হতে পারে ফিফা।