ম্যাচ শেষে দুই অধিনায়ক।ছবি: রয়টার্স।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচ কারও পক্ষে গেল না। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দিয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুক। ঘরের মাঠে যে চ্যালে়ঞ্জ সাদরে গ্রহন করারই কথা ছিল কোহালি অ্যান্ড কোং-এর। কিন্তু ছবিটা দেখা গেল ঠিক উল্টো। ম্যাচ ড্র রাখতে সক্ষম হলেও ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলতে পারল না ভারত। ম্যাচ শেষে বিরাট কোহালি বলেন, ‘‘নতুন কিছু করার একটা ভাল সুযোগ ছিল। ম্যাচের শেষের দিকে এমন সুযোগ পাওয়া যায় না। নিজেকে বোঝাতে হত তোমার দিকে কী আসছে। যদিও প্রথম দু’দিন আমাদের আরও ভাল করা উচিত ছিল। পাঁচটি ক্যাচ ফেলেছি আমরা। ইংল্যান্ড এমন দল যাদের হালকাভাবে নেওয়ার কোনও জায়গা নেই। যা যা সমস্যা সেগুলো ঠিক করতে হবে। ইংল্যান্ড বোলাররা সব সময় চাপে রেখেছিল। কিন্তু যা হয়েছে সেটা মেনে নিতে হবে।’’
টস জিতে ব্যাট করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। প্রথম দু’দিন যে এই উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে সেটা জানাই ছিল। যার ফল টস ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টসে হার ভারতকে শুরুতেই কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল। তার উপর প্রথম ইনিংসে দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ৫৩৭এ গিয়ে থেমেছিল ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের তিনটি সেঞ্চুরি। সেই তালিকায় নাম লিখিয়ে নিয়েছিলেন জো রুট, মঈন আলি ও বেন স্টোকস। এই ম্যাচ যে ব্যাটসম্যানদের সেঞ্চুরি খাতায় নাম লেখানোর ছিল তা বোঝা গেল ভারতের ইনিংসেও। ভারতের ইনিংসেও মুরলী বিজয় ও চেতেশ্বর পূজারার ব্যাট থেকে এল সেঞ্চুরি। কিন্তু ইংল্যান্ডের রানের প্রথম টার্গেট ছুঁতে ব্যর্থ হয় ভারত। জো়ড়া সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ৪৮৮তে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক বলেন, ‘‘কঠিন পাঁচটি দিন ছিল। টস জেতাটা আমাদের জন্য খুব ভাল দিক ছিল। ভারতে ৫৩০ রান করলেই তুমি ম্যাচ জেতার মতো জায়গায় থাকবে। উইকেটও ভাল ছিল। ভারতকে সহজে রান করতে দিইনি। হামেদও দারুণ খেলেছে।’’
ম্যাচ বাঁচলেও জয় এল না। হতাশ বিরাট কোহালি। ছবি: এএফপি।
চতুর্থ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়ে থেকেই ব্যাট করতে নেমে়ছিল ইংল্যান্ড। শেষদিন ম্যাচের প্রায় দু’ঘণ্টা বাকি থাকতে ২৬০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। এদিনও ইংল্যান্ড ইনিংসে আসে একটি সে়ঞ্চুরি। ১৩০ রানের ইনিংস খেলেন অ্যালেস্টার কুক। ৮২ রান করে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে যান হাসিব হামেদ। ভারতের হাতে তখন ৫২ ওভার বাকি। ৩০৯ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। একদিনের ম্যাচে এই রান তাড়া করে জেতাটা আজ কাল আর শক্ত কাজ নয়। কিন্তু এটা ছিল টেস্ট ম্যাচ। সেই গতিতেই শুরু করার কথা ছিল দুই ওপেনার মুরলী বিজয় ও গৌতম গম্ভীর। দু’জনে শক্ত ভীত তৈরি করে দিতে পারলে হয়তো রেজাল্ট হলেও হতে পারত। কিন্তু কোনও রান না করে প্যাভেলিয়নে ফিরে গেলেন গম্ভীর।
প্রথম টেস্টে সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেন না দিল্লির এই ব্যাটসম্যান। মুরলী করলেন ৩১ রান। অধিনায়ক কোহালি যে ভাবে খেললেন তাতে সঠিক সঙ্গী পেলে এই রান টপকে বাজিমাতও করতে পারত ভারত। কিন্তু তেমনটা হল না। ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানেই থামতে হল ভারতকে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও দুই ইনিংস মিলে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হলেন মঈন আলি। বলেন, ‘‘দারুণ পিচ। ব্যাটিং উপভোগ করেছি। মনে হচ্ছে আমরা তৈরি। এতদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যা শিখেছি সেটা কাজে লাগিয়েছি। পাশাপাশি স্পিন আক্রমণের বিরুদ্ধেও আমরা ভাল খেলেছি।’’
আরও খবর
ক্যাপ্টেন কুকের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ নিতে পারলেন না কোহালি