ঊনত্রিশতম জন্মদিনের আসর যে এ ভাবে আগুনে মেজাজে শুরু হবে তাঁর, কে ভেবেছিল! হইহই করে তাঁর দেশ ফাইনালে উঠে গিয়েছে শতবার্ষিকী কোপার। তাঁর নেতৃত্ব, দুরন্ত ফর্ম, নিমেষে ম্যাচের দখল নিয়ে নেওয়ার মতো দুরন্ত সব গোল প্রশংসার বন্যায় ভাসছে মার্কিন মুলুকে। যার গোটাটাই তিনি করে চলেছেন বরফ ঠান্ডা মাথায়।
বরফেও কি আগুন লাগে? লাগে বোধহয়। না হলে আর্জেন্তিনার এমন ফুরফুরে সময়ে হঠাৎ ইন্সটাগ্রামে তোলপাড় পড়ে যাবে কেন তাঁকে— লিওনেল মেসিকে নিয়ে?
ঘটনাটা কী?
শুক্রবারই ২৯তম জন্মদিন ছিল মেসির। আগের দিন বৃহস্পতিবার হিউস্টন থেকে নিউ জার্সি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল আর্জেন্তিনা দলের। যেখানকার মেটলাইফ স্টেডিয়ামে চিলির বিরুদ্ধে কোপা ফাইনালের যুদ্ধ মেসির আর্জেন্তিনার। কিন্তু নির্ধারিত সময় অনেকক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বিমান ছাড়েনি এলএম টেনের দলের। যা দেখে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ আর্জেন্তিনীয় মহাতারকা সটান নিজের দেশের ফুটবল ফেডারেশনকে তোপ দেগে বসেন ইনস্টাগ্রামে। সতীর্থ সের্জিও আগেরোর সঙ্গে বিমানে বিরক্ত মুখে বসে থাকার ছবি পোস্ট করে মেসি লেখেন, ‘‘সেই আবার বিমানে বসে। ছাড়ার অপেক্ষা করছি। কী দূরবস্থা এএফএ-র। উফ! ঈশ্বর।’’
বিরক্ত। সতীর্থ আগেরোর সঙ্গে বিমান ছাড়ার অপেক্ষায়।-টুইটার।
মেসির পোস্টের সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে যায়। আর্জেন্তিনা ফুটবল ফেডারেশনকে পর্যন্ত নড়েচড়ে বসতে হয়। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে এএফএ-র তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, ‘‘এএফএ জানিয়ে দিতে চায়, যে বিমানে জাতীয় দলের নিউ জার্সি যাওয়ার কথা সেটা আবহাওয়ার কারণে উড়তে দেরি করছে।’’
১৯৯৩ কোপা আমেরিকা জেতার পর থেকে আর্জেন্তিনার ২৩ বছরের আন্তর্জাতিক ট্রফি খরা, গত কোপা ফাইনাল আর ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্যর্থতার ভূত তাড়া করছে মেসিদের। চাপটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন দিয়েগো মারাদোনা। মেসির দলকে সতর্ক করে তাঁর কিংবদন্তি পূর্বসুরি বলে দিয়েছেন, ‘‘রবিবার আমরা অবশ্যই জিতব। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে যে ভাবে টিম খেলেছে সেটা ধরে রাখতে পারলে ফাইনালে জিততে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এ বার কোপা ফাইনালে জিততে না পারলে জাতীয় দল যেন আর দেশে না ফেরে।’’