ISL

ভুল রেফারিংয়ের জন্য দ্বিতীয় পর্বের আইএসএল থেকে বাদ পড়লেন দুই রেফারি

এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই খারাপ রেফারিং নিয়ে ফেডারেশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ১১:৪২
Share:

বার বার প্রশ্ন উঠছিল আইএসএলে রেফারিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া

আইএসএলে ভুল রেফারিং নিয়ে শেষমেশ নড়েচড়ে বসল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। পরপর ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এবার শাস্তি পেলেন দুই রেফারি। আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে আর রেফারিং করতে দেখা যাবে না এই দুই রেফারিকে।

Advertisement

এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই খারাপ রেফারিং নিয়ে ফেডারেশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে ওই ম্যাচের রেফারি এই দুজনের মধ্যে নেই। শুধুমাত্র ইস্টবেঙ্গল নয়, কলকাতার আরও এক প্রধান এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসও খুশি নন রেফারিং নিয়ে। রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে এফসি গোয়া, জামশেদপুর এফসিশিবিরেও। প্রকাশ্যে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন জামশেদপুর কোচ ওয়েন কোয়েল, এফসি গোয়া কোচ হুয়ান ফেরান্দো।

শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে আইলিগ।ফলে, দ্বিতীয় পর্বের আইএসএলের জন্য নতুন কোনও রেফারি পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে এআইএফএফ। প্রথম পর্বের ৫০টি ম্যাচে ১৩ জন রেফারি ম্যাচ পরিচালনার দ্বায়িত্বে ছিলেন। তার মধ্যে একটি ম্যাচ পরিচালনা করেই চোটের কবলে পড়েন আর ভেঙ্কটেশ। বায়ো বাবলের বাইরে চলে যান তিনি। এবার তাঁর সঙ্গে যুক্ত হলেনআরও দুই রেফারি।

Advertisement

আরও পড়ুন: দরকারে মাঝমাঠে খেলতেও রাজি ব্রাইট এনোবাখারে

আরও পড়ুন: আই লিগের প্রথম ম্যাচে সুদেভা এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে সতর্ক মহমেডান কোচ

এই দুই রেফারির মধ্যে একজন আবার একধিক ম্যাচ পরিচালনা করলেও একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই রেফারি সম্পর্কে এআইএফএফ সূত্রের দাবী, "ফাউল বোঝার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। এরপর তাঁকে কিছুটা অব্যহতি দেওয়াহলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।" শাস্তির কবলে পড়া আরেক রেফারি নিয়ে আরও অসন্তুষ্ট সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। তাঁরশরীরী ভাষা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সূত্রের দাবী, "কিছু ক্ষেত্রে ফুটবলারদের সঙ্গে তিনি যেরকম ব্যবহার করেছেন তা মানা যায় না।"

তবে ইস্টবেঙ্গল বনাম এফসি গোয়া ম্যাচ পরিচালনা করা এ রোয়ান নেই এই তালিকায়। এআইএফএফ সচিব কুশল দাস এপ্রসঙ্গে জানান, "রেফারি অ্যাসেসরের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কোনও রেফারি যদি অ্যাসেসরের রিপোর্ট অনুযায়ীখুব ভুল কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, তবে তাঁকে কিছুদিন বাইরে রাখা হয়।"

আই লিগ শুরু হওয়ায় নতুন করে রেফারি পাওয়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে জেনেই রেফারিদের পাশে দাঁড়িয়ে কুশল দাস বলেন, "এটা একটা বড় সমস্যা। তবে রেফারিরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। বায়ো বাবলের মধ্যে থেকে তাঁদের পরপর ম্যাচ খেলাতে হচ্ছে।ফলে, রিকভারির সময় পাচ্ছেন না তাঁরা।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন