বায়ার্নের হয়ে দ্বিতীয় গোলের পর উল্লাস হ্যারি কেনের। ছবি: রয়টার্স।
বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে লড়াই করেও হারতে হল ফ্ল্যামেঙ্গোকে। ব্রাজিলের ক্লাবকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল জার্মানির ক্লাব। বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেন হ্যারি কেন। কোয়ার্টার ফাইনালে কঠিন চ্যালেঞ্জ বায়ার্নের সামনে। তাদের মুখোমুখি পিএসজি। লিয়োনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে উড়িয়ে শেষ আটে উঠেছে প্যারিসের ক্লাব।
খেলার শুরুতেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ৬ মিনিটের মাথায় জোশুয়া কিমিচের শট হেড করে বার করতে গিয়ে নিজের জালেই জড়িয়ে দেন ফ্ল্যামেঙ্গোর এরিক পুলগার। তিন মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ান কেন। ১০ মিনিটের মধ্যে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়লেও লড়াই ছাড়েনি ফ্ল্যামেঙ্গো। ৩২ মিনিটের মাথায় ম্যানুয়েল ন্যুয়েরকে পরাস্ত করে ব্যবধান কমান গার্সন।
প্রথমার্ধে ৪১ মিনিটের মাথায় বায়ার্নের হয়ে তৃতীয় গোল করেন লিয়ন গোরেৎজ়কা। ফলে দু’গোলের ব্যবধানে আবার এগিয়ে যায় জার্মানির ক্লাব। প্রথমার্ধের শেষ দিকে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন ন্যুয়ের। ফলে দুই গোলের ব্যবধানেই বিরতিতে যায় বায়ার্ন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল করার মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে ফ্ল্যামেঙ্গো। ৫৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে তাদের দ্বিতীয় গোল করেন জর্জিনহো। কিন্তু তাদের সব আশায় জল ঢেলে দেন কেন। ৭৩ মিনিটে কিমিচের ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চার নম্বর গোল করেন তিনি। ক্লাব বিশ্বকাপে এটা তাঁর তৃতীয় গোল। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ফ্ল্যামেঙ্গো। মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে ৬৫ হাজার দর্শকের সামনে ৪-২ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।
কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি বায়ার্ন ও পিএসজি। শেষ বার এই দুই দল খেলেছিল ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে, সে বার বায়ার্নের কাছে ১-০ হারতে হয়েছিল পিএসজিকে। এ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে তারা। ফলে লুই এনরিকের দলের সামনে সুযোগ বায়ার্নকে হারিয়ে পাঁচ বছর আগের হারের বদলা নেওয়ার।