East Bengal

চোটে বিপর্যস্ত ইস্টবেঙ্গল, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নামার আগে দলের লক্ষ্য ঠিক করে দিলেন কোচ

সুপার কাপ জেতার পর থেকেই ছন্দহীন ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে নেমেই হারতে হয়েছে দু’টি ম্যাচ। শনিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। দলের লক্ষ্য ঠিক করে দিলেন কোচ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:১৫
Share:

ইস্টবেঙ্গল দল। ছবি: এক্স।

সুপার কাপ জেতার পর থেকেই ছন্দহীন ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে নেমেই হারতে হয়েছে দু’টি ম্যাচ। পয়েন্ট তালিকায় দশে নেমে গিয়েছে লাল-হলুদ। এই অবস্থায় শনিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক ফুটবলারের চোট-আঘাতে বিপর্যস্ত তারা। শনিবারের ম্যাচে কার্ড সমস্যায় পাওয়া যাবে না দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে। এই অবস্থায় পয়েন্ট তালিকায় নীচের দিকে থাকা দলগুলিকে হারিয়ে প্লে-অফে উঠতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরেই ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, গোটা মরসুমের জন্যই ছিটকে গিয়েছেন হোসে পারদো। তাঁর জায়গায় বিকল্প হিসাবে ঘোষণা করা হয় সার্বিয়ার আলেকজান্ডার পান্টিচের নাম। গত বছর ডিফেন্ডার জর্ডান এলসেও চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন। তখন সময় নিয়ে হিজাজি মাহেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল। হিজাজি আস্থার দাম রেখেছেন। কিন্তু পান্টিচ কী করবেন তা নিয়ে অনেকেরই মনে প্রশ্ন। বিশেষত গত দু’টি ম্যাচে যেখানে বাকি দুই নতুন বিদেশি ভিক্টর ভাসকুয়েস এবং ফেলিসিয়ো ব্রাউন নজর কাড়তে পারেননি, সেখানে পান্টিচকে নিয়ে সংশয় বাড়ছেই।

নতুন ফুটবলার নিয়ে শুক্রবার কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বললেন, “আমাদের দলে আরও একজন চোট পেল এবং দ্রুত আর একটা ফুটবলারকে নিতে হল। জর্ডান এলসের সময়েও এ রকম হয়েছিল। ওর জায়গায় হিজাজিকে নিয়েছিলাম। এ বার বিকল্প ফুটবলারকে নিয়ে অত দৌড়োদৌড়ি করতে হয়নি। সূচি এ রকমই। কিছু করার নেই। দু’দিন অন্তরই খেলতে হবে আমাদের। এক হয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজে বার করার চেষ্টা করছি।”

Advertisement

কুয়াদ্রাতের সংযোজন, “পারদোর চোট নিয়ে হতাশ। দলকে দারুণ ভাবে সাহায্য করছিল ও। এই মুহূর্তে সঙ্গে সঙ্গে কোনও ফুটবলারকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু স্কাউটিং দলের সৌজন্যে সেটা সম্ভব হয়েছে। দেখেছিলাম যে পান্টিচের সঙ্গে কারও চুক্তি নেই। তাই ওর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলি। ও আসতে রাজি হয়ে যায়। তাই আর কারও ব্যাপারে ভাবতে চাইনি।”

লিগের প্রথম দিকে থাকা দলগুলির বিরুদ্ধে শক্তিতে পেরে উঠবে না লাল-হলুদ। তাই নীচের সারির দলগুলিকে হারানোই আপাতত লক্ষ্য কুয়াদ্রাতের। ছয়ে থাকা নর্থইস্টের বিরুদ্ধে দু’টি খেলাই হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া জামশেদপুর, পঞ্জাব, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়িনকে হারানো লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের। সবার নীচে থাকা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম পর্বে জেতার পর দ্বিতীয় পর্বেও তিন পয়েন্ট লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের। এ দিন কোচ বলেন, “আমাদের কাছে এখন প্রত্যেকটা ম্যাচই জিততে হবে। ছেলেরাও ফোকাস্‌ড। নুঙ্গা এবং মহেশকে আমরা পাচ্ছি না। তবে চার জন বিদেশিকে অন্তত খেলাতে পারব। এটাই আমাকে শান্তি দিচ্ছে।”

তবে প্লে-অফে ওঠার লড়াই যে সহজ হবে না এটা মেনে নিচ্ছেন কুয়াদ্রাত। ব্যাখ্যা দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের কোচ বলেন, “মরসুমের মাঝে বার বার বিদেশি বদলাতে হচ্ছে আমাদের। ভিক্টর (ভাসকুয়েস), ফেলিসিয়ো (ব্রাউন), পান্টিচকে এখন নতুন করে বোঝাতে হবে ভারতীয় ফুটবলের ব্যাপারে। আমাদের লক্ষ্যটা ঠিক কী সেটাও বুঝিয়ে দিতে হবে। এর জন্য আরও অন্তত ১৫ দিন লাগবে। তার পর বুঝতে পারব প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করা সম্ভব কি না। এখন অন্তত চারটে দল লড়াই করছে একটা স্থানের জন্য। আমরাও সেই লড়াইয়ে রয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন