East Bengal

সূচি নিয়ে ক্ষোভের আবহে ক্লেটনদের সোমবার অগ্নিপরীক্ষা

আইজ়লের বিরুদ্ধে জিতলে তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট হবে মশালবাহিনীর। ওড়িশা বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচ ড্র হলে তাদেরও অর্জিত পয়েন্ট হবে পাঁচ। তখন দেখা হবে গোল পার্থক্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৫৪
Share:

মহড়া: আইজ়ল ম্যাচের প্রস্তুতিতে ইভান ও ক্লেটন। ছবি: ইস্টবেঙ্গল।

জামশেদপুর এফসির কাছে হেরে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সুপার কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে এটিকে-মোহনবাগান। কলকাতার আর এক প্রধান ইস্টবেঙ্গলের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। ক্লেটন সিলভাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে জটিল অঙ্কের উপরে। এক) ন্যূনতম ৪-০ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে জিততে হবে আইজ়লের বিরুদ্ধে। দুই) ওড়িশা এফসি বনাম হায়দরাবাদ এফসি দ্বৈরথ ড্র হতে হবে। এখন দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ওড়িশা। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে হায়দরাবাদের সংগ্রহেও চার পয়েন্ট। গোল পার্থক্য পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা। তৃতীয় স্থানে থাকা ইস্টবেঙ্গলের দুই পয়েন্ট।

Advertisement

আইজ়লের বিরুদ্ধে জিতলে তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট হবে মশালবাহিনীর। ওড়িশা বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচ ড্র হলে তাদেরও অর্জিত পয়েন্ট হবে পাঁচ। তখন দেখা হবে গোল পার্থক্য। এই কারণেই শেষ ম্যাচে অন্তত ৪-০ গোলে জিততে হবে ক্লেটনদের। তা হলেই গ্রুপের সেরা হয়ে শেষ চারে উঠবে ইস্টবেঙ্গল। মরণ-বাঁচন এই ম্যাচের আগে লাল-হলুদ শিবিরে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে সুপার কাপের ক্রীড়াসূচি নিয়েই।

সোমবার মঞ্জেরিতে আইজ়লের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ বিকেল পাঁচটায়। ওড়িশা ও হায়দরাবাদ মুখোমুখি হবে রাত সাড়ে আটটায়। আগের ম্যাচে ৩-৩ গোলে ড্র পরেই লাল-হলুদের কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘যখন ‘বি’ গ্রুপ থেকে কোন দল সেমিফাইনালে উঠবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তা হলে কেন দু’টি ম্যাচ একই সময়ে দেওয়া হল না?’’ লাল-হলুদের এক সদস্য বললেন, ‘‘রবিবার ‘এ’ গ্রুপে বেঙ্গালুরু বনাম কেরল এবং শ্রীনিধি-রাউন্ডগ্লাস ম্যাচ একই সময়ে দেওয়া হল। আমাদের ক্ষেত্রেই অন্য নিয়ম।’’

Advertisement

আগের ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৩-১ এগিয়ে থেকেও যে ভাবে রক্ষণের ভুলে ৩-৩ ড্র করে মাঠ ছেড়েছিলেন মহেশ সিংহরা, তাতে লাল-হলুদ সমর্থকরা খুব একটা আশাবাদী নন শূন্য পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে সবার শেষে থাকা আইজ়লের বিরুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে সম্ভবত শেষ ম্যাচের আগে স্টিভন যদিও বলছেন, ‘‘আমার কোনও চাপ নেই। ইস্টবেঙ্গল সব ম্যাচেই মাঠে নামে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। সব জেনেই তো দায়িত্ব নিয়েছিলাম।’’

হায়দরাবাদের সঙ্গে ৩-৩ ড্রয়ের জন্য স্টিভনের ভুল সিদ্ধান্তকেই কেউ কেউ দায়ী করছেন। কারণ ৬৭ মিনিটে জাক জার্ভিসকে তুলে তিনি জর্ডান ও’ডোহার্টিকে নামিয়েছিলেন। তাতেই আক্রমণের ঝাঁঝ কমে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। ৭১ ও ৮২ মিনিটে গোল খেয়ে নিশ্চিত জয় হাতছাড়া করেছিল মশালবাহিনী। সোমবার আই লিগের ক্লাব আইজ়লের বিরুদ্ধে রণকৌশল কী হবে? স্টিভন বলছেন, ‘‘ফুটবলারদের মনঃসংযোগ বা দায়বদ্ধতা নিয়ে আমার মনে কোনও প্রশ্ন নেই। আমরা গোল খেয়েছি ব্যক্তিগত ভুলের জন্য। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আমরা তিনটি গোলই খেয়েছিলাম এই কারণে। অবশ্য পুরো মরসুম জুড়েই এ রকম হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি অনুশীলনে ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার।’’ এ দিকে যুব লিগে ইস্টবেঙ্গল ২-১ গোলে হারাল মহমেডানকে।

শেষ চারে সুনীল ছেত্রীরা: কেরল ব্লাস্টার্সের সঙ্গে ১-১ ড্র করেও সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বেঙ্গালুরু এফসি। কারণ রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব এফসি ১-০ গোলে হারিয়েছে শ্রীনিধি ডেকান এফসিকে।

সোমবার সুপার কাপে: ইস্টবেঙ্গল বনাম আইজ়ল এফসি (বিকেল, ৫.০০), ওড়িশা এফসি বনাম হায়দরাবাদ এফসি (রাত ৮.৩০)। সম্প্রচার সোনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন