Qatar World Cup 2022

গত বারের ব্যর্থতা ভুলে কী ভাবে ফিরতে পারবে জার্মানি, পড়ে নিন আনন্দবাজার অনলাইনে

গত বারের ফুটবল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল জার্মানিকে। চাকরি গিয়েছিল কোচের। এ বার দলে অনেক তরুণ মুখ। কাতারে কি চমক দেখাতে পারবে জার্মানি?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৭:০৮
Share:

গত বার ফুটবল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছিল জার্মানি। এ বারের বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন ন্যুয়ের, মুলাররা। ছবি: টুইটার

পর পর দু’বার ফুটবলের বড় প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ তারা। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জেতার পরে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব ও ২০২০ সালের ইউরো কাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে জার্মানিকে। চাকরি গিয়েছে বিশ্বকাপ দেওয়া কোচ জোয়াকিম লো-র। সেই জার্মানি কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া। নতুন কোচ, দলে বেশ কয়েক জন তরুণ ফুটবলার। সেই সঙ্গে রয়েছে অভিজ্ঞতাও। ম্যানুয়েল ন্যুয়ের, থমাস মুলারদের সম্ভবত এটাই শেষ বিশ্বকাপ। তাই এই বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন তাঁরা।

Advertisement

সূচি

  • ২৩ নভেম্বর বনাম জাপান (সন্ধ্যা ৬.৩০)
  • ২৭ নভেম্বর বনাম স্পেন (রাত ১২.৩০)
  • ১ ডিসেম্বর বনাম কোস্টারিকা (রাত ১২.৩০)
Advertisement

*ভারতীয় সময় অনুযায়ী

পরিকল্পনা

১৫ বছর কোচের দায়িত্ব সামলানোর পরে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন লো। ২০২১ সালের অগস্ট মাসে দলের দায়িত্ব নেন হান্সি ফ্লিক। তাঁর মন্ত্র পজিশন নির্ভর ফুটবল। বলের দখল যতটা সম্ভব নিজেদের কাছে রাখা। প্রতিপক্ষকে বলের পিছনে দৌড় করিয়ে ক্লান্ত করে দেওয়া। আর সুযোগ পেলেই দ্রুত প্রতিআক্রমণে ওঠা। তার জন্য একটি পজিশনে একাধিক ফুটবলার তৈরি করে রেখেছেন ফ্লিক। তবে একটি ক্ষেত্রেই জার্মানিকে উন্নতি করতে হবে। সেটা হল গোল করা। সুযোগ তৈরি করলেও সেই অনুযায়ী গোল হচ্ছে না। তবে মুলারের মতো স্ট্রাইকার যে কোনও মুহূর্তে জ্বলে উঠতে পারেন।

প্রধান ফুটবলার

অবশ্যই থমাস মুলার। ফুটবল বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ খেলে ১০টি গোল করেছেন তিনি। নিজের দেশেরই মিরোস্লাভ ক্লোজ়েকে (১৬টি গোল) ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ তাঁর রয়েছে। গত বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে নিজের নামের প্রতি সুনাম করতে চাইবেন মুলার।

বিশ্বকাপের ইতিহাস

ব্রাজিলের পরে বিশ্বকাপের সব থেকে সফল দেশ জার্মানি। ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে (প্রথম তিন বার পশ্চিম জার্মানি হিসাবে) তারা। এ ছাড়া ১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬ ও ২০০২ সালে তারা রানার্স হয়েছে। তিন বার তৃতীয় স্থানেও শেষ করেছে জার্মানি।

পুরো দল:

গোলরক্ষক: ম্যানুয়েল ন্যুয়ের, মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান, কেভিন ট্রাপ

ডিফেন্ডার: থিলো কাঁহা, নিকোলাস সুলে, লুকাস ক্লোস্টারমান, আন্তোনিয়ো রুডিগার, নিকো শ্লটেরবেক, আরমেল বেলা কোচাপ, ম্যাথিয়াস জিন্টার, ডেভিড রাউম, ক্রিশ্চিয়ান গুন্টার

মিডফিল্ডার: জোশুয়া কিমিখ, জোনাস হফমান, জুলিয়ান ব্রান্ট, লিয় গোরেৎজকা, ইলখাই গুন্ডোয়ান, জামাল মুসিয়ালা, নিকোলাস ফুলকুর্গ, মারিয়ো গোৎজ়ে

ফরোয়ার্ড: লেরয় সানে, থমাস মুলার, সার্জ নাব্রি, কাই হাভার্ৎজ, ইউসুফা মৌকোকো, করিম আদেয়েমি

কোচ: হান্সি ফ্লিক

সম্ভাব্য একাদশ: (৪-২-৩-১) ন্যুয়ের, কাঁহা, সুলে, রুডিগার, রাউম, কিমিখ, গোরেৎজকা, নাব্রি, মুলার, সানে, হাভার্ৎজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন