Brazil Football

রোনাল্ডোকে দেখেই চোখে জল! পা ছুঁয়ে প্রণাম ঠুকে ফেললেন রিচার্লিসন

দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের পর তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কুড়ি বছর আগের ৯ নম্বর জার্সিধারী রোনাল্ডো নাজ়ারিয়োর সঙ্গে। নিজের আদর্শকে দেখে কেঁদে ফেললেন রিচার্লিসন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৪৭
Share:

রোনাল্ডোর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল রিচার্লিসনের। ছবি: টুইটার

কুড়ি বছর আগে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে বিশ্বকে মাতিয়েছিলেন এক ৯ নম্বর। হাতে তুলেছিলেন ট্রফিও। কুড়ি বছর পরে ব্রাজিলের আর এক ৯ নম্বর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন দেশকে ট্রফি দেওয়ার। বিশ্বকাপে সোমবার তিন নম্বর গোলটি করে ফেলেছেন এখন ব্রাজিলের ৯ নম্বর জার্সিধারী রিচার্লিসন। ম্যাচের পর তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কুড়ি বছর আগের নম্বর জার্সিধারী রোনাল্ডো নাজ়ারিয়োর সঙ্গে। নিজের আদর্শকে দেখে কেঁদে ফেললেন রিচার্লিসন।

Advertisement

সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে একক দক্ষতায় একটি অনবদ্য গোল করেছেন রিচার্লিসন। ম্যাচের মধ্যে বিখ্যাত হয়েছে তাঁর এবং দলের ‘পিজিয়ন ডান্স’, যে নাচ করতে দেখা গিয়েছে কোচ তিতেও। ম্যাচের পর রোনাল্ডোর সঙ্গে রিচার্লিসনের সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করেছিল ফিফা। একটি ঘরে ঢুকে সামনে রোনাল্ডোকে দেখেই হকচকিয়ে যান রিচার্লিসন। রোনাল্ডো তাঁকে জড়িয়ে ধরার সময় চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি তিনি। কিছু ক্ষণ পরেই নীচু হয়ে বসে রোনাল্ডোর পায়ে হাত ছুঁইয়ে নিজের মাথায় ঠেকান রিচার্লিসন। ফিফার ভিডিয়ো প্রকাশের পর তা ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।

ফিফার ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রিচার্লিসন কথাই বলতে পারছিলেন না। তাঁকে রোনাল্ডো বলেন, “তোমাকে আজ কথা বলতেই হবে। আমাকে পিজিয়ন নাচ শেখাতে হবে। তুমি তো তিতেকেও নাচিয়ে দিলে। আর তিনটে ম্যাচ বাকি। ফাইনালে কিন্তু ২০০২ সালে আমার সেই চুলের ছাঁটে তোমাকে দেখতে চাই।” উত্তরে রিচার্লিসন বলেন, “আমি সত্যিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। রোনাল্ডো আমার আদর্শ। ঠিক নেমারের মতোই। ছোট থেকে আপনি আমার অনুপ্রেরণা ছিলেন। আশা করি সেই চুলের ছাঁটে আমার অনেক ছবি আপনি দেখেছেন।”

Advertisement

রোনাল্ডো উত্তর দেন, “আমি তোমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছি। এ বার তোমার পালা। অনেক ব্রাজিলীয়ের অনুপ্রেরণা তুমি। তোমার গোল দেখে হাজার হাজার ব্রাজিলীয় গলা ফাটায়। আনন্দ করে। তুমি আমাদের গর্ব। আমরা তোমাদের পাশে রয়েছি। আজ দারুণ খেলেছ তোমরা।”

নিজের গোল সম্পর্কে রিচার্লিসন বলেন, “গোলটা করে খুব ভাল লেগেছে। বিপক্ষের দু’জন সেন্টারব্যাকের বিরুদ্ধে যে ভাবে কাটিয়ে এগিয়েছিলাম, মাথা দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণ করেছিলাম সেটা নিজেরই ভাল লেগেছে। আর কেউ সামনে আছে কিনা দেখারই চেষ্টা করিনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন