Indian Football

আন্তঃমহাদেশীয় কাপের ফাইনালে রবিবার ভারতের সামনে লেবানন, স্তিমাচকে ভাবাচ্ছে গোল নষ্টের রোগ

রবিবার লেবাননের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচকে ভাবাচ্ছে গোল নষ্টের প্রদর্শনী। তিনটি ম্যাচেই ভারতের ফুটবলাররা প্রচুর সুযোগ নষ্ট করেছেন। তার মধ্যে রয়েছেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩ ২১:১৬
Share:

ট্রফির সামনে লেবাননের কোচ আলেকজান্ডার ইলিচ (বাঁ দিকে) এবং ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচ। ছবি: সংগৃহীত

মঙ্গোলিয়া এবং ভানুয়াটুকে হারিয়ে আগেই আন্তঃমহাদেশীয় কাপের ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করেছিল ভারত। বৃহস্পতিবার লেবাননের বিরুদ্ধে ড্র করলেও সমস্যা হয়নি। কিন্তু রবিবার সেই লেবাননের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচকে ভাবাচ্ছে গোল নষ্টের প্রদর্শনী। তিনটি ম্যাচেই ভারতের ফুটবলাররা প্রচুর সুযোগ নষ্ট করেছেন। সুযোগ কাজে লাগানো গেলে জয়ের ব্যবধান বাড়তেই পারত।

Advertisement

আগের ম্যাচে অনিরুদ্ধ থাপা একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। এমনকি পরের দিকে নেমে সুনীল ছেত্রীও গোল করতে পারেননি। ফাইনালের আগে তাই স্তিমাচ বলেই দিলেন, “গোল করা ছাড়া আমরা আর কিছু ভুল করিনি। মনে হয় না ফাইনালে বিরাট কোনও পরিবর্তন দরকার। কিন্তু গতি বাড়াতে হবে, আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে আরও আগ্রাসন এবং শক্তি দেখতে চাই, যারা লেবাননের মতো শারীরিক শক্তি দিয়ে খেলা দলের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।”

স্তিমাচ আরও বলেছেন, “গোলের সামনে পৌঁছে গেলে কী করতে হবে সে সম্পর্কে খেলোয়াড়দের একটা নির্দেশ দেওয়াই রয়েছে। মাথা ঠান্ডা রেখে বলে চোখ রাখো। বল জালে রাখাটাই তোমার আসল কাজ। তাতেও আমরা গোল করতে পারছি না।”

Advertisement

স্তিমাচ মেনে নিয়েছেন, আক্রমণভাগে ঈশান পন্ডিতার না থাকা প্রভাব ফেলেছে। ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন ফুটবলার বলেছেন, “পন্ডিতাকে নিয়ে সত্যিই খুব সমস্যায় পড়েছি। ওর থেকে অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু পেশিতে টান লাগায় ওকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইনি। গোল করা বা শেষ ৩০ মিনিটে ম্যাচে প্রভাব ফেলার ব্যাপারে ও আমাদের দলের দারুণ সম্পদ হতে পারত। আশিকেরও (কুরুনিয়ান) গোড়ালি ফুলে গিয়েছে। তাই ওকে নিয়েও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।”

এ দিকে, সেপ্টেম্বর মাসে তাইল্যান্ডে কিংস কাপে অংশ নেবে ভারতীয় দল। ৭-১০ সেপ্টেম্বর নকআউট পদ্ধতিতে এই প্রতিযোগিতা খেলা হবে। অর্থাৎ ভারত মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। এর আগে ২০১৯ সালে এই প্রতিযোগিতায় ভারত তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিল। প্রথম ম্যাচে কুরাসাওয়ের কাছে ১-৩ হারার পর তাইল্যান্ডকে ১-০ হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জেতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন