হায়দরাবাদ এফসিকে হারিয়ে আইএসএলের ফাইনালে উঠেছে এটিকে মোহনবাগান। জয়ের পরে দলের ফুটবলারদের উল্লাস। —ফাইল চিত্র
কয়েক ঘণ্টা পরেই আইএসএলের ফাইনাল খেলতে নামবে এটিকে মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি। এটিকের সঙ্গে সংযুক্তির পরে প্রথম বার সবুজ-মেরুনের ট্রফি জেতার সুযোগ রয়েছে। সেই ট্রফি এটিকে মোহনবাগান জিতুক বা না জিতুক, একটি পুরস্কার নিশ্চিত তাদের। সেটি হল সোনার গ্লাভস। আইএসএলের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেই গিয়েছেন এটিকে মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কায়েথ।
আইএসএলে মোট ২৩টি ম্যাচ খেলেছে এটিকে মোহনবাগান। গ্রুপ পর্বে ২০টি ম্যাচের পাশপাশি প্লে-অফ ও সেমিফাইনালে ৩টি ম্যাচ খেলেছে তারা। ২৩টি ম্যাচের মধ্যে ১২টি ম্যাচে গোল খায়নি মোহনবাগান। সেই ১২টি ম্যাচেই বাগান তেকাঠির নীচে ছিলেন বিশাল। এটিকে মোহনবাগানকে ফাইনালে তোলার পিছনে বড় অবদান রয়েছে তাঁর। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে টাইব্রেকারেও একটি সেভ করেছেন তিনি।
সাধারণত, কোনও প্রতিযোগিতার সেরা গোলরক্ষককে সোনার গ্লাভস দেওয়া হয়। সে দিক থেকে দেখতে গেলে সব থেকে বেশি ম্যাচে গোল না খাওয়ার নজির বিশালের দখলে। সেই কারণে তিনিই এ বারের সেরা গোলরক্ষক। এটিকে মোহনবাগান আইএসএল জিতুক বা না জিতুক একটি পুরস্কার তাদের নিশ্চিত। সেরা গোলরক্ষক হয়েই গোয়া থেকে কলকাতায় ফিরবেন বিশাল।
আরও দু’টি ব্যক্তিগত পুরস্কার পেতে পারে এটিকে মোহনবাগান। দলের স্ট্রাইকার পেত্রাতসের কাছে সুযোগ রয়েছে সোনার বল ও সোনার বুট জেতার। এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় ১০টি গোল করেছেন পেত্রাতস। সর্বাধিক গোল ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটন সিলভা ও ওড়িশা এফসির দিয়েগো মৌরিসিয়োর। তাঁরা ১২টি করে গোল করেছেন। তবে তাঁরা দু’জনেই প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলছেন না। তাই যদি ফাইনালে পেত্রাতস হ্যাটট্রিক করতে পারেন তা হলে সোনার বুট তাঁরই দখলে যাবে। ১০টি গোল করার পাশাপাশি ৭টি অ্যাসিস্টও রয়েছে পেত্রাতসের। তাই সোনার বলের দৌড়েও সবার আগে রয়েছেন তিনি। আইএসএস শেষে তিনি জোড়া পুরস্কার আনতে পারেন সবুজ-মেরুন তাঁবুতে।