চোট পাওয়ার দিন পন্থ। — ফাইল চিত্র।
ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে ভাঙা পা নিয়েও ব্যাট করতে নেমে পড়েছিলেন ঋষভ পন্থ। অর্ধশতরানও করেছেন ভারতের উইকেটকিপার। ইংল্যান্ডের মহিলা ফুটবল দলেও পাওয়া গেল তেমনই এক ‘ঋষভ পন্থ’কে। ইউরো কাপ জেতার পর লুসি ব্রোঞ্জ দাবি করেছেন, গোটা প্রতিযোগিতাতেই তিনি ভাঙা পা নিয়ে খেলেছেন।
রবিবার রাতে ফাইনালে স্পেনকে পেনাল্টিতে হারিয়ে টানা দু’বার ইউরো কাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে ১০৫ মিনিট পর্যন্ত খেলেছেন লুসি। তার পরে হাঁটুর সমস্যায় তুলে নেওয়া হয়। ম্যাচের পর তিনি বিবিসি-কে বলেছেন, “আমি আসলে গোটা প্রতিযোগিতাতে চিড় ধরা টিবিয়া (হাঁটু থেকে গোড়ালির সংযোগ রক্ষাকারী সবচেয়ে বড় হাড়) নিয়ে খেলেছি। তার পরে অন্য পায়েও আঘাত লাগে। তাই জন্যই সুইডেন ম্যাচের পর সতীর্থেরা আমার প্রশংসা করেছিল। সে দিন প্রচণ্ড ব্যথা করছিল। তবে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে গেলে যদি ব্যথা নিয়ে খেলতে হয় তাতেও আমি রাজি।”
প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেছেন, “কখনও নিজেদের উপর বিশ্বাস হারাইনি। বাইরে থেকে অনেকে অনেক কথা বলেছে। কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকেছি। এই দলের সদস্য হওয়া যথেষ্ট অনুপ্রেরণার।”
ইউরো কাপ হাতে লুসি ব্রোঞ্জ। ছবি: রয়টার্স।
রবিবার ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট শেষ হলেও বেন স্টোকসের ‘হ্যান্ডশেক’ বিতর্ক সে ভাবে সে দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতে স্থানই পায়নি। স্টোকসদের আচরণের সমালোচনাও করা হয়নি। বরং অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলা দলের কীর্তিকে। যদিও ইংল্যান্ডের সংবাদপত্রে বরাবরই ক্রিকেটের থেকে ফুটবল বেশি গুরুত্ব পায়। তবু স্টোকসদের এই আচরণ কী করে তারা এড়িয়ে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এ দিকে, ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট শেষ হওয়ার পর পন্থ বলেছেন, “ব্যক্তিগত মাইলফলকের দিকে না তাকিয়ে দলের পক্ষে কোনটা ভাল, সেটা সবসময় ভেবেছি। যে ভাবে চাপের মধ্যে গোটা দল খেলেছে তা দুর্দান্ত। পাশাপাশি যে ভাবে গোটা দেশ আমার পাশে থেকেছে সেটা দেখে আমার পক্ষে আবেগ ধরে রাখা কঠিন। দেশকে গর্বিত করার থেকে বেশি আনন্দ কিছুতে নেই।”
ওভালে তিনি খেলতে পারবেন না। কিন্তু দলের কাছে একটা আবদার করেছেন পন্থ। জয়ের আবদার। তিনি বলেন, “দলকে একটাই কথা বলব। ওভালে জিতে ফেরো। দেশের জন্য জিতে ফেরো।”