শতরানের পর ওয়াশিংটন সুন্দর। ছবি: পিটিআই।
ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে ভারতকে ড্র করতে সাহায্য করেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তাঁর ২০৬ বলে ১০১ রানের ইনিংস না থাকলে ম্যাচটা হেরেও যেতে পারত ভারত। বল হাতেও অলি পোপ এবং জো রুটের ১৪৪ রানের জুটি ভাঙেন। যে ভাবে ভারতীয় দল নির্বাচনে বার বার ওয়াশিংটনের পারফরম্যান্স উপেক্ষা করা হয় তা একেবারেই পছন্দ নয় তাঁর বাবা এম সুন্দরের। তাঁর ক্ষোভ, পরের ম্যাচে খারাপ খেললেই হয়তো আবার ওয়াশিংটন বাদ পড়বেন।
নাম না করে গৌতম গম্ভীর, শুভমন গিলদের দল নির্বাচনকেই তোপ দেগেছেন সুন্দর। পাশাপাশি তাঁর মত, সাধারণ মানুষও কোনও দিন ওয়াশিংটনের পারফরম্যান্স মনে রাখেন না। সুন্দর বলেছেন, “ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছে ওয়াশিংটন। তবে লোকে ওর পারফরম্যান্স ভুলে যায়। বাকিরা নিয়মিত সুযোগ পায়। শুধু আমার ছেলে পায় না। চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে যে ভাবে পাঁচ নম্বরে ওকে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল, সেটাই ধারাবাহিক ভাবে বজায় রাখা উচিত। প্রথম টেস্টে ওকে নেওয়াই হয়নি। আমি অবাক হয়েছিলাম। নির্বাচকদের উচিত নিয়মিত ওর ম্যাচ দেখা।”
সুন্দর এ কথা বললেও তাঁর ইচ্ছা সম্ভবত পূরণ হবে না। কারণ ঋষভ পন্থ টেস্ট দলে ফিরলে তিনিই হয়তো পাঁচে নামবেন। তবে চোট থাকায় তিনি ওভালে খেলবেন না। ফলে ওয়াশিংটনকে পাঁচে দেখা যেতেই পারে।
সুন্দরের ক্ষোভ অবশ্য তাতে থামেনি। তিনি বলেছেন, “একটা-দুটো ম্যাচে খারাপ খেললেই আমার ছেলেকে বাদ দেওয়া হয়। এটা উচিত নয়। ২০২১-এ চেন্নাইয়ে এই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘূর্ণি পিচে ও ৮৫ রান করেছিল। অহমদাবাদে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সে বছর অপরাজিত ৯৬ রান করেছিল। এই দুটো ইনিংসে শতরান করলেও হয়তো ওকে বাদ দেওয়া হত। বাকিদের ক্ষেত্রেও কি এ ভাবে উপেক্ষা করা হয়? এত কিছুর পরেও ওয়াশিংটন যথেষ্ট শক্তিশালী রেখেছে নিজেকে।”
শুধু ভারতীয় দলই নয়, আইপিএলে ওয়াশিংটনকে সুযোগ দেওয়া হয় না বলে মত সুন্দরের। তিনি বলেছেন, “আইপিএলে আরসিবি টানা ১১টা ম্যাচে ওকে বসিয়ে রেখেছিল। ২০২২-এর আইপিএলে একটা ম্যাচে ১৪ বলে ৪০ করার পরেও পরের ম্যাচে ছয়ে নামানো হল। এমনকি গুজরাতও ওকে সুযোগ দেয় না। এলিমিনেটরে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ২৪ বলে ৪৮ করেছিল। রাজস্থান কী ভাবে যশস্বী জয়সওয়ালের পাশে দাঁড়ায় দেখেছেন? ঘরোয়া ক্রিকেটেও ওয়াশিংটন নিয়মিত সুযোগ পায় না।”