Mohun Bagan

ডার্বির আগে আবার জয় মোহনবাগানের, ডুরান্ডে পঞ্জাব এফসি-কে হারাল সবুজ-মেরুন

ডার্বির আগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জিতল মোহনবাগান। পঞ্জাব এফসি-কে তারা হারিয়ে দিল ২-০ গোলে। প্রথম গোলটি আত্মঘাতী। দ্বিতীয় গোলটি করেন হুগো বুমোস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ২০:০৬
Share:

গোলের পর মনবীরের সঙ্গে উচ্ছ্বাস বুমোসের (ডান দিকে)। ছবি: টুইটার।

ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতল মোহনবাগান। পঞ্জাব এফসি-কে তারা হারিয়ে দিল ২-০ গোলে। প্রথম গোলটি আত্মঘাতী। দ্বিতীয় গোলটি করেন হুগো বুমোস, যিনি এ দিনই মরসুমে প্রথম বার ক্লাবের হয়ে নামলেন। গ্রুপে শীর্ষে চলে গেল মোহনবাগান। ফলে আগামী শনিবার কলকাতা ডার্বির আগে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে গেল তারা।

Advertisement

ডার্বির আগে টানা দু’টি জয় মোহনবাগানকে শান্তিতে রাখলেও, কিছুটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে সোমবারের পারফরম্যান্সের পর। মোহনবাগানের রক্ষণ শক্তিশালী থাকার কারণে পঞ্জাব গোল করতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু একাধিক বার পঞ্জাব গোল করার জায়গায় চলে গিয়েছিল। পোস্ট এবং মোহন-গোলকিপারের দক্ষতায় গোল হজম করেনি তারা।

প্রথমার্ধে মনবীরের ক্রস থেকে আত্মঘাতী গোল করেন পঞ্জাবের মেলরয় আসিসি। ডান দিক থেকে ক্রস বক্সে ভাসিয়েছিলেন মনবীর। আসিসি ক্লিয়ার করতে গিয়ে পিছলে যান। বল তাঁর পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের গোলটি করেন বুমোস। দিমিত্রি পেত্রাতোসের সঙ্গে পাস খেলে বাঁ দিক থেকে বক্সে ক্রস ভাসিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। বুমোসের প্রথম প্রয়াস পঞ্জাবের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। দ্বিতীয় প্রয়াসেই গোল করেন বুমোস।

Advertisement

প্রথমার্ধে প্রবল বৃষ্টির কারণে কিশোরভারতী স্টেডিয়ামের কিছু জায়গায় জল জমে যায়। ফলে মোহনবাগানের পাসিং ফুটবল খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল। প্রথম একাদশে ব্রেন্ডন হ্যামি এবং বুমোস— এই দুই বিদেশিকে রেখেছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। পাশাপাশি ক্লাবের হয়ে অভিষেক হয় আনোয়ার আলির।

গোল খাওয়ার পরেও পঞ্জাব ঘাবড়ে যায়নি। পরের বার আইএসএল খেলতে চলেছে তারা। জিতেছে আই লিগ। ফলে দলের ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া চোখে পড়ছিল। সেই সুযোগ একাধিকবার মোহনবাগানের বক্সে আক্রমণ করে তারা। তবে মাঠের অবস্থা খারাপ থাকার কারণে গোল পায়নি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোহনবাগান এগিয়ে যায়। কোলাসোর ক্রস থেকে গোল করেন বুমোস। দু’মিনিট পরেই গোল শোধ করার জায়গায় চলে গিয়েছিল পঞ্জাব। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন খেলোয়াড় জুয়ান মেরার শট পোস্টে লাগে। ৫৬ মিনিটের মাথায় দারুণ সেভ করেন মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ। সতীর্থের ক্রস বুক দিয়ে রিসিভ করেন লুকাস মাজসেন। চকিতে মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে শট নেন। কিন্তু বিশালের হাতে আটকে যায় তাঁর প্রয়াস।

বাকি সময়ে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি মোহনবাগান। তবে শনিবার ডার্বির আগে টানা দুই জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে ফেরান্দোর দলের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন