মোহনবাগানের জেসন কামিংস (বাঁ দিকে) এবং দিমিত্রি পেত্রাতোস। — ফাইল চিত্র।
ডুরান্ড কাপে মোহনবাগান শেষ ম্যাচ খেলেছিল ১৭ অগস্ট। তার ঠিক এক মাস পরে, মঙ্গলবার আবার কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামতে চলেছে তারা। যুবভারতীতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর (এসিএল ২) ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের আহাল এফকে-র বিরুদ্ধে খেলবে তারা। মাঝের এই এক মাসে কোনও ম্যাচ না খেললেও, মঙ্গলবার তাদের কোনও অসুবিধা হবে না বলেই মনে করেন কোচ হোসে মোলিনা। গত এক মাসের প্রস্তুতি নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট তিনি।
মোহনবাগান সরাসরি এসিএল ২-এর গ্রুপ পর্বে খেললেও আহাল এসেছে প্লে-অফে জিতে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, তাদের ঘরোয়া লিগ এখন পুরোদমে চলছে। অর্থাৎ ম্যাচের মধ্যেই রয়েছে তুর্কমেনিস্তানের এই ক্লাব। জাতীয় দলে খেলা একাধিক ফুটবলারও রয়েছেন সেই ক্লাবে।
সে সব নিয়ে ভাবতেই চান না মোলিনা। বিপক্ষ দলকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই বললেন, “কাল দেখে নেবেন কেমন খেলি।” প্রস্তুতি নিয়ে বলেছেন, “আমি সন্তুষ্ট। গত এক মাসে খেলোয়াড়েরা প্রচুর পরিশ্রম করেছে। তবে এটা ঠিক, ম্যাচ খেলতে না পারায় একটু সমস্যা হয়েছে আমাদের। গোয়ার বিরুদ্ধে একটা ভাল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। সমস্যা সত্ত্বেও আশা করি কালকের ম্যাচে ফুটবলারেরা ভালই খেলবে। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।”
গত দু’বার আইএসএলের লিগ-শিল্ড জিতে মোহনবাগান নিজেদের ভারতের সেরা ক্লাব হিসাবে প্রমাণ করেছে। তবে গত বারের এসিএল-এ ইরানের টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে সে দেশের ক্লাব ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে খেলতে রাজি না হওয়ায় প্রতিযোগিতা থেকে বার করে দেওয়া হয় মোহনবাগানকে। তার আগে একটিই ম্যাচ খেলেছিল তারা, যেটি ড্র হয়।
ম্যানেজমেন্ট সব সময়েই এই প্রতিযোগিতাকে গুরুত্ব দিয়েছে। দলের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েন্কাও চান এশীয় মঞ্চে দল ভাল খেলুক। একই কথা শোনা গেল মোলিনার মুখে। বললেন, “আমরা সকলকে দেখিয়ে দিতে চাই যে শুধু ভারত নয়, এশিয়াতেও আমরা ভাল খেলতে পারি। নিজেদের প্রমাণ করতে চাই। তাই এই প্রতিযোগিতা আমাদের কাছে একটা বড় সুযোগ।”
এসিএল-এ বিদেশিদের খেলানোর ব্যাপারে বিধিনিষেধ না থাকায় চাইলে ছ’জন বিদেশিকেই নামিয়ে দিতে পারেন মোলিনা। সেই ইঙ্গিতও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। তবে চোটের কারণে মনবীর সিংহকে পাবেন না তিনি। শুভাশিস বসুরও খেলার সম্ভাবনা কম।
মোলিনা বলেছেন, “দলের দুই খেলোয়াড় রবসন এবং কিয়ানকে নিয়ে আমি খুশি। ১০-এ ১০ দেব। দু’জনেই প্রচুর পরিশ্রম করে। কিছু কিছু জিনিস মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। সেই চেষ্টা ওরা করছে।”
প্রথম একাদশ অবশ্য ভাঙতে চাননি স্পেনীয় কোচ। রহস্য রেখে বলেছেন, “হাতে ভাল ফুটবলার না থাকলে তখন কোচের সমস্যা হয়। আমার হাতে থাকা প্রত্যেকেই ভাল ফুটবলার। সকলে খেলার জন্য তৈরি। তাই আমার হাতে একাধিক বিকল্প রয়েছে। দল নির্বাচন নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই।”
সম্প্রতি কাফা নেশনস কাপে খেলে এসেছে ভারতের জাতীয় দল। সেই দলে ছিলেন না মোহনবাগানের ফুটবলারেরা। তবে ভারতের সাফল্যে গর্বিত অনিরুদ্ধ থাপা। বললেন, “ওরা দারুণ খেলেছে। এশিয়ার কোনও দেশের বিরুদ্ধেই খেলা সোজা নয়। সতীর্থেরা দেশকে গর্বিত করেছে। আশা করি ওদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে কালকের ম্যাচে নামতে পারব।”