সম্পূর্ণার (বাঁ দিকে) সঙ্গে মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
বাবা ছোটবেলা থেকে মোহনবাগান সমর্থক। উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিলেন। বাবার দেখাদেখি মেয়েও মোহনবাগানের সমর্থক। এমনকি, আইসিএসই-তে অঙ্ক পরীক্ষার দু’দিন আগে যুবভারতীতে হাজির হয়ে দেখেছে মোহনবাগান বনাম ওড়িশার ম্যাচ। সেই ম্যাচে দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলে লিগ-শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। সেই সম্পূর্ণা সিনহাকে সংবর্ধনা দিল মোহনবাগান ক্লাব। ডিপিএস নিউটাউনের ছাত্রী ৯৯.৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে আইসিএসই-তে গোটা দেশে তৃতীয় হয়েছে।
এ দিন দুপুরে মোহনবাগানের জার্সি গায়েই তাঁবুতে এসেছিলেন সম্পূর্ণা। বাবা সুপ্রিয় সিনহার গায়েও মোহনবাগানের জার্সি। মা-ও এসেছিলেন সবুজ-মেরুন রঙা শাড়ি পরে। সচিব দেবাশিস দত্ত এবং ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় সংবর্ধনা দেন সম্পূর্ণাকে।
পেত্রাতোসের সেই গোল সম্পূর্ণার কাছে অনুপ্রেরণা। সে বলেছে, “মরসুমটা দিমির কাছে ভাল যায়নি। তবে ও নিজের উপর ভরসা রেখেছে। ক্লাব ওর উপরে ভরসা রেখেছে। এর থেকে শিক্ষা নিয়েছি, জীবনে পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, হাল ছাড়তে নেই।”
বাবা সুপ্রিয় জানালেন, পরীক্ষা চললেও সারা ক্ষণ পড়তে হবে বলে কোনও দিন মেয়েকে চাপ দেননি। বরং মোহনবাগানের খেলা দেখার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বললেন, “সব বাবা-মায়ের কাছে এটা একটা শিক্ষা হওয়া উচিত। খেলা থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।”
ভবিষ্যতে ক্রীড়া চিকিৎসা বা ক্রীড়া মনোবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় সম্পূর্ণা। এখন উপভোগ করছে পরীক্ষার ফলাফল এবং একই সঙ্গে মোহনবাগানের লিগ-শিল্ড ও কাপ জয়।