Mohun Bagan protest

পেত্রাতোসই সমর্থকদের কাছে খলনায়ক! মোহনবাগান ম্যাচে উত্তপ্ত কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম, পুলিশের লাঠিচার্জ

বুধবার ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-০ গোলে হারায় মোহনবাগান। কিন্তু সেই জয় খুশি করতে পারেনি সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। তাঁদের রাগ, মোহনবাগান এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ম্যাচ খেলতে ইরানে না যাওয়ায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৫০
Share:

(বাঁদিকে) স্টেডিয়ামের বাইরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি মোহনবাগান সমর্থকদের। (ডানদিকে) গ্যালারিতে প্রতিবাদের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত।

দল আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে। শনিবার ডার্বি। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল মোহনবাগান সমর্থকদের বিক্ষোভ। বিশৃঙ্খলা বাড়লে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। আহত হন সমর্থকেরা। পুলিশ দুই সমর্থককে আটক করেছে।

Advertisement

বুধবার ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-০ গোলে হারায় মোহনবাগান। কিন্তু সেই জয় খুশি করতে পারেনি সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। তাঁদের রাগ, মোহনবাগান এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ম্যাচ খেলতে ইরানে না যাওয়ায়। অনুমান করা হয়েছিল, এই ম্যাচের পর বিক্ষোভ দেখাবেন সমর্থকেরা। ম্যাচ শেষে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে সেটাই হল।

যে দিমিত্রি পেত্রাতোস সবুজ-মেরুন জনতার নয়নের মণি, তিনিই এখন খলনায়ক। সমর্থকদের ধারনা, পেত্রাতোসের আপত্তিতেই ইরানে খেলতে যায়নি দল। ম্যাচের আগে পেত্রাতোস মাঠে ঢোকার সময়ে তাঁকে ঘিরে সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পেত্রাতোস প্রথম গোল করার পরেও গ্যালারি থেকে ‘শেম শেম’ আওয়াজ ওঠে। পেত্রাতোসও গোল করে কোনও উৎসব করেননি।

Advertisement

নিরাপত্তার কারণে মোহনবাগান ইরানে খেলতে যায়নি। তারপর থেকেই মোহন সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ দল পরিচালন সমিতির উপর। অনেক সমর্থকই বলতে থাকেন, নিরাপত্তার ছুতো তুলে খেলতে যায়নি দল। মূলত সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কিন্তু দলকে সামনে পেয়েই সরাসরি বিক্ষোভ দেখালেন সমর্থকেরা।

ম্যাচের আগে থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা-সহ বাকি কর্তাদের পদত্যাগের দাবি করে স্টেডিয়ামের বাইরে ব্যানার লাগানো হয়। ম্যাচ চলাকালীন মোহন সমর্থকেরা সমানে ম্যানেজমেন্ট ও ক্লাবের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।

পরিস্থিতি চরমে ওঠে ম্যাচের শেষে। পেত্রাতোস নিজের গাড়িতে যখন মাঠ থেকে বেরোচ্ছিলেন, তখন মোহনবাগান সমর্থকদের একাংশ তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। গাড়িতে চাপড়ও মারা হয়। সমর্থকদের সামলাতে পুলিশ তখন লাঠিচার্জ করে। তিন সমর্থক আহত হন। পুলিশ দু’জনকে আটক করে।

পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এর পর মোহনবাগান সমর্থকেরা কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। এর ফলে দুই দলের ফুটবলারাই আটকে পড়েন। প্রায় ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মোহনবাগান এবং ইউনাইটেড স্পোর্টসের ফুটবলাররা মাঠ ছাড়েন।

আইএফএ-র কাছে এই ঘটনার পুরো রিপোর্ট দাবি করে চিঠি দিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ভবিষ‍্যতে যাতে খেলোয়াড়, সমর্থকদের নিরাপত্তা থাকে, তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement