East Bengal vs Mohun Bagan

একা একা বসে কলকাতা ডার্বি দেখলেন বুমোস, রেফারিকে তোপ শুভাশিসের, ফিট মহেশ

ম্যাচের দিন টিম বাসে আসেননি হুগো বুমোস। জনি কাউকোর গাড়িতে এসেছিলেন। তিনি ম্যাচ দেখেন ভিভিআইপি বক্সে বসে। ম্যাচের পর রেফারিং নিয়ে তোপ দেগেছেন শুভাশিস। ইস্টবেঙ্গলের মহেশ ফিট হয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৭
Share:

ডার্বির একটি মুহূর্ত। ছবি: এক্স।

শনিবার কলকাতা ডার্বির দল ঘোষণা হওয়ার পরেই তৈরি হয়েছিল বিস্ময়। মোহনবাগানের প্রথম একাদশে তো বটেই, রিজার্ভ বেঞ্চেও ছিলেন না হুগো বুমোস। তবে তিনি যে থাকবেন না, সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। ম্যাচের বেশ অনেক ক্ষণ আগে জনি কাউকো গাড়ি করে মাঠে ঢোকেন। সেই গাড়ির পিছনের আসনে বসে থাকতে দেখা যায় বুমোসকে।

Advertisement

অনেকেই ভেবেছিলেন, টিম বাসের সঙ্গে না এসে আলাদা এসেছেন বুমোস। কিন্তু গাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি সাজঘরে যাননি। কাউকোর সঙ্গে সোজা চলে যান ভিভিআইপি বক্সে। সেখানেই বসে খেলা দেখেন। সেই দৃশ্যও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। কাঁচের বক্সের ঘেরাটোপে একাই বসেছিলেন বুমোস। কাউকো এবং বাকি ফুটবলারদের স্ত্রী-বান্ধবীরা বাইরে রাখা চেয়ারে বসে খেলা দেখেন।

শোনা গিয়েছে, বুমোসকে যেখানে কোচ আন্তোনিয়ো হাবাস খেলাতে চাইছেন সেখানে ফরাসি ফুটবলার খেলতে রাজি হচ্ছেন না। পাশাপাশি সুপার কাপে বুমোসের খেলা নিয়ে হাবাস প্রশ্ন করায় খুশি হননি তিনি। সে কারণেই দু’জনের মধ্যে সামান্য ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এ দিকে, হাবাসের পর শনিবার ডার্বির রেফারিং নিয়ে তোপ দেগেছেন অধিনায়ক শুভাশিস বসু। মিক্সড জ়োনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “পরের মরসুমে আমাদের এগোতে গেলে রেফারিদের আরও ভাল পারফর্ম করতে হবে। রেফারিই এখন ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করছে। পেনাল্টি ছিল না। পেনাল্টি দিয়ে দিচ্ছে। ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যখন তখন যাকে খুশি হলুদ কার্ড দেখিয়ে দিচ্ছে। রেফারিদের মান আরও উন্নত করতে হবে। না হলে ভারতীয় ফুটবলের মানের উন্নত হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “কিছু কিছু ঘটনা রেফারি দেখছেন না, নাকি দেখেও কিছু করছেন না সেটা জানি না। এতে দুটো দলেরই খারাপ হচ্ছে। কোনও ফুটবলারকে অকারণে হলুদ কার্ড দেখানো হলে সেই ফুটবলার বাকি ম্যাচে আর ভাল খেলতে পারছে না। ক্লেটন (সিলভা) আমাকে বক্সের ভেতরে ট্যাকল। ওটা পেনাল্টি হতে পারত। রেফারি দিল না।”

ইস্টবেঙ্গল শিবির ডার্বি ড্র করেও ফুরফুরে। হোটেলে ফেরার পর কেক কেটে ক্লেটনের জন্মদিন পালন করা হয়। জন্মদিনে ডার্বিতে গোল করেছেন তিনি। পাশাপাশি, বিপদ কেটেছে নাওরেম মহেশের। ডার্বির মাঝেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি পরের ম্যাচে খেলবেন। তবে সাউল ক্রেসপোর চোটের পরিস্থিতি কী তা পরে জানা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন