(বাঁ দিকে) মহম্মদ রশিদ এবং জেমি ম্যাকলারেন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে মরসুমের তৃতীয় ডার্বি। আজ সন্ধ্যা ৬টা যুবভারতীতে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত কোনও ট্রফি জিততে পারেনি কলকাতার দুই প্রধানের সিনিয়র দল। সুপার কাপের আগে শিল্ড জয় আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পারে দুই শিবিরেরই।
তুল্যমূল্য লড়াইয়ের আশায় লাল-হলুদ এবং সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা। হোসে মোলিনার দলকে আজ হারাতে ইস্টবেঙ্গল কোচের তুরুপের তাস হতে পারেন নবাগত জাপানি স্ট্রাইকার হিরোশি ইবুসুকি। ফাইনালের আগে তাঁকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শিল্ড ফাইনালেই লাল-হলুদ জার্সি গায়ে অভিষেক হতে পারে তাঁর। প্রথম ম্যাচই ডার্বি। ইবুসুকি জ্বলে উঠতে পারলে লাল-হলুদ জনতার কাছে নায়ক হয়ে উঠবেন।
অস্ট্রেলীয় লিগে খেলা স্ট্রাইকারের জবাব রয়েছে মোহনবাগান শিবিরেও। ভারতীয় ফুটবলে পরীক্ষিত, অভিজ্ঞ দিমিত্রি পেত্রোতাস। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র ম্যাচ খেলতে ইরানে না যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছু দিন আগে সমর্থকদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার। সেই সমর্থকদের শিল্ড উপহার দিয়ে তিনি নিশ্চিত ভাবেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
শক্তির বিচারে এ বার দু’দল কাছাকাছি। দু’দলই পুরো শক্তি নিয়ে নামবে। চোট-আঘাত বা কার্ড সমস্যা তেমন নেই। দুই কোচের কৌশলের লড়াই জমিয়ে দিতে পারে ম্যাচ। মাঠে নেমে অবশ্য আসল কাজটা করতে হবে ফুটবলারদেরই। ফাইনালের আগের দিন সাংবাদিকদের সামনে আসেননি ইস্টবঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজ়ো। তাঁর সহকারী বিনো জর্জ ৩০তম শিল্ড জয়ের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন। ব্রুজ়ো ইস্টবঙ্গলের হয়ে প্রথম ট্রফি জিততে চাইছেন। অন্য দিকে, পরিস্থিতি বুঝে মোহনবাগান কোচ মোলিনা জানিয়েছেন, শনিবারের ম্যাচ তাঁর কোচিং জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় ফুটবলের সেরা আকর্ষণ এখনও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি। দু’দলের সদস্য-সমর্থকেরাই তাকিয়ে থাকেন এই ম্যাচের দিকে। তাঁরাও উত্তেজিত। শিল্ড ফাইনালের টিকিটের চাহিদাও রয়েছে। প্রিয় দলের জয় দেখার আশায় বুক বেঁধে স্টেডিয়ামে যাবেন তাঁরা।
ইস্টবেঙ্গলে মহম্মদ রশিদ, মিগুয়েল, সিবিয়ে, পিভি বিষ্ণুর মতো ফুটবলারেরা রয়েছেন। মোহনবাগানেও রয়েছেন জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংসেরা। মরসুমের প্রথম দুই ডার্বিতে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। মানসিক ভাবে কিছুটা এগিয়ে থাকতে পারে লাল-হলুদ শিবির। এই পরিসংখ্যান দিয়ে অবশ্য ডার্বির ভবিষ্যৎ বিচার করা যায় না। তার উপর বর্তমান পরিস্থিতিতে ডার্বি জয়ই সবুজ-মেরুন শিবিরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারে। সব মিলিয়ে ১২৫তম আইএফএ শিল্ড ফাইনাল জমে ওঠার সব মশলা তৈরি। কোন শিবির দীপাবলির রোশনাইয়ে আগাম ভাসবে, সেটুকুই জানার অপেক্ষা।